‘আমার দেবীর বিসর্জন হয়ে গেছে’, পুজোর চারদিন ধরনায় বসছেন তিলোত্তমার বাবা-মা

ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। মায়ের আগমন ঘটেছে মণ্ডেপে মণ্ডপে। কিন্তু আকাশে বাতাসে বইছে বিষাদের সুর। কারণ উমা ঘরে এলেও তিলোত্তমা ফিরবে…

kkkl ‘আমার দেবীর বিসর্জন হয়ে গেছে’, পুজোর চারদিন ধরনায় বসছেন তিলোত্তমার বাবা-মা

ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। মায়ের আগমন ঘটেছে মণ্ডেপে মণ্ডপে। কিন্তু আকাশে বাতাসে বইছে বিষাদের সুর। কারণ উমা ঘরে এলেও তিলোত্তমা ফিরবে না তার মায়ের কোলে। ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সঠিক বিচার পাইনি তিলোত্তমা (Tilottama’s Parents)।

দশ দফা দাবি নিয়ে কলকাতার রাজপথে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়ার চিকিৎসকেরা৷ চারিপাশ সেজে উঠেছে আলোর রোশনায়৷ পুজোর আবহ শুরু হলেও পানিহাটির আকাশ বাতাসে একটাই সুর তিলোত্তমা সঠিক বিচার পাক৷ বাড়ির সামনে পুজো।

   

প্রতি বছর সেজে উঠত তিলোত্তমার (Tilottama’s Parents) বাড়ি। কিন্তু এই বছর কী হবে? সকাল হলেও পুজোতে মায়েরা সঙ্গে ফুল তুলতে যাবে না তিলোত্তমা৷ সম্প্রতি এই কথাগুলো বলচতে বলতে কেঁদে ফেললেন তিলোত্তমার বাবা-মা৷

মেয়ের স্মৃতি বুকে নিয়ে পুজোর সময় ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত ধরনায় বসছেন তাঁরা। এর জন্য বাড়ির সামনে মঞ্চ বাঁধা হচ্ছে। তিলোত্তমার বাবা-মা জানালেন, যে কেউ ধরনা মঞ্চে আসতে পারেন। তবে কোনও রাজনৈতিক রং লাগুক, চাইছেন না তাঁরা।

এই বছর প্রায় সকল মণ্ডপেই শোনা যাচ্ছে এই অডিও ক্লিপ৷ যেখানে শোনা যাচ্ছে, “আমি তিলোত্তমার (Tilottama’s Parents) মা বলছি। আমার মেয়ে কি সত্যিই চলে গিয়েছে? না। যাঁরা আন্দোলনকারী, যাঁরা আমার মেয়ের জন্য লড়ছেন, আমার মেয়েকে নিজের মেয়ে মনে করেছেন, তাঁদের মধ্যেই আমার মেয়ে বেঁচে রয়েছে। তবে আমার অনেক আশা ছিল। পুজো নিয়ে মেয়ে অনেক পরিকল্পনা করেছিল এবার। সবার সঙ্গে আনন্দ করবে। নিজের হাতে সব কাজ করবে। কিন্তু, পুজোর আগেই আমার দুর্গার বিসর্জন হয়ে গিয়েছে। তবে তার জন্য আমি যাতে সুবিচার পাই, সেজন্য আপনারা রাস্তায় নেমেছেন।”