BJP: বাংলাদেশের জাতীয় কবি নজরুলের গান দিয়ে গীতাপাঠ সমাবেশে থাকবেন বিজেপি নেতৃত্ব

সাম্যবাদী কবি ও প্রবল ব্রিটিশ বিরোধী ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতা মুজফ্‌ফর আহমদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু কবি নজরুল ইসলাম। তাঁর আরও একটি পরিচয়, তিনি বাংলাদেশের…

BJP: বাংলাদেশের জাতীয় কবি নজরুলের গান দিয়ে গীতাপাঠ সমাবেশে থাকবেন বিজেপি নেতৃত্ব

সাম্যবাদী কবি ও প্রবল ব্রিটিশ বিরোধী ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতা মুজফ্‌ফর আহমদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু কবি নজরুল ইসলাম। তাঁর আরও একটি পরিচয়, তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তাঁরই রচিত গানই কিনা ব্রিগেডের গীতাপাঠ আসরে বাজবে! বঙ্গ BJP নেতারা থাকবেন অনুষ্ঠানে। আয়োজকরা বলছেন কবি নজরুলের লেখা গান ‘হে পার্থসারথি, বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য’ গানটি সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হবে। তাৎপর্যপূর্ণ ‘পাঞ্চজন্য’ নামে প্রবন্ধ পত্রিকা সংঘ পরিবার (RSS) ঘনিষ্ঠ। অভিযোগ, এই পত্রিকায় ভারতে বসবাসকারী মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাম্প্পদায়িক বার্তা দেওয়া হয়। তবে বঙ্গ বিজেপির দাবি, ‘পাঞ্চজন্য’ অর্জনের শঙ্খেরও নাম।

কবি নজরুল ইসলাম ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ভারতেই থেকে গেছিলেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ তৈরি হয়। আর নজরুলকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে ভারত সরকারের অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশের ‘জাতির পিতা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় নিয়ে গেছিলেন। সেখানেই কবি প্রয়াত হন। সম্প্রতি তাঁর রচিত স্বাধীনতা আন্দোলনের গান ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্বের অন্যতম সুরকার এ আর রহমানের বিরুদ্ধে।

কবি নজরুলের গান থাকছে ব্রিগেডের গীতাপাঠ আসরে। এই অনুষ্ঠানটি জড়িয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কে। প্রথমে আসব বলেও পরে প্রধানমন্ত্রী মোদী গীতাপাঠ শোনার সফর বাতিল করেন। বিজেপি সূত্রে খবর, অনুষ্ঠান হবেই। লক্ষাধিক কণ্ঠে হবে গীতার শ্লোক পাঠ। আগামী ২৪ ডিসেম্বর কলকাতায় ব্রিগেড ময়দানে বসতে চলেছে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আসর।

Advertisements

গীতাপাঠের আয়োজক হলেন অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ, সংস্কৃতি সংসদ ও মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন আশ্রম। অনুষ্ঠানটিকে সর্বতভাবে সাহায্য করছে বিজেপি। গীতাপাঠে অংশ নেবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধু।

উদ্যোক্তারা বলছেন, ব্রিগেডে মোট ২০টি ব্লক তৈরি করা হয়েছে। প্রতি ব্লকে বসবেন ৫ হাজার জন। মূল মঞ্চ করা হবে ৩টে। দ্বারকার শঙ্করাচার্য স্বরূপানন্দ সরস্বতী থাকবেন একটি মঞ্চে। অন্য মঞ্চে থাকবেন গীতার পাঠ করানোর সন্তরা। ২৪ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় ২০ হাজার ৮টি শঙ্খধ্বনিতে অনুষ্ঠান শুরু হবে। সমবেত কন্ঠে গীতা পাঠের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে গীতার ৫টি অধ্যায়।