বিগবেন: হাওড়া স্টেশনের বড় ঘড়িটি ৯৫ বছরে পা

নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: হাওড়া স্টেশন মানেই বাঙালির চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটি বিশেষ জিনিস। সম্ভবতঃ হাওড়া স্টেশনে এটিই সবচেয়ে বিখ্যাত স্থানফলক। আর পরিচিত কাউকে খুঁজে…

howrah-big-clock

নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: হাওড়া স্টেশন মানেই বাঙালির চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটি বিশেষ জিনিস। সম্ভবতঃ হাওড়া স্টেশনে এটিই সবচেয়ে বিখ্যাত স্থানফলক। আর পরিচিত কাউকে খুঁজে পেতে তো এর জুড়ি মেলা ভার। শুধু নিশানাটুকু বলে দিলেই হল। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। হাওড়া স্টেশনের বড় ঘড়িটির কথাই হচ্ছে। যা এবার পা দিল ৯৫তে।  

“হাওড়া স্টেশনের বড় ঘড়ির নীচে এসে দেখা করিস (বা করো)” এমন কথা যার উদ্দেশে তার কথাই বলা হচ্ছে। ১৯২৬ সালে এই বড় ঘড়িটি স্থাপন করা হয়। পিঠোপিঠি এই ঘড়িটির একটি মুখ ১ থেকে ৮ নাম্বার প্লাটফর্মের দিকে এবং অন্যটি ৯ থেকে ১৫ নাম্বার প্লাটফর্মের দিকে। এই ঘড়িটি ভারী লোহার ফ্রেমের ওপর স্থাপিত এবং স্টেশন ম্যানেজার অফিসের পাশের দেয়ালের সাথে সংযুক্ত।

howrah-big-clock

Advertisements

“জেন্টস” দ্বারা নির্মিত এই পুরানো ফ্যাশনের ঘড়িটি ৯৩ বছর পরও সঠিক সময় দেয় যার কারণে যাত্রীরা নিজেদের ঘড়ির সময় এটির সাথে মিলিয়ে নেন। আগে এই বিদ্যুৎ চালিত যান্ত্রিক ঘড়িটিতে একটি দূরনিয়ন্ত্রক পালসার যন্ত্রের মাধ্যমে একটি অফিস থেকে দম দেওয়া হতো এবং সময়ের সমন্বয় সাধন করা হতো। পরবর্তীতে বিদ্যুৎ পরিবাহী তারে সমস্যা সৃষ্টির কারণে দম দেওয়ার ব্যবস্থা ঘড়ির নিজের ভেতরেই করা হয়।এখন এই ঘড়িতে আর চাবি ঘুরিয়ে দম দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

বহু মানুষের মিলনস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হাওড়ার “বিগ বেন” এই ঘড়িটিই প্রকৃত সময়ের স্বাদ দিয়ে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও দেবে।