শুক্রবারের মধ্যে সরিয়ে ফেলতে হবে ব্যারিকেড, নির্দেশ পুজো কমিটি গুলিকে

পুজো মিটেছে, শহরের রাস্তার ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল করতে উদ্যোগী কলকাতা পুলিশ। পুজো উপলক্ষে রাস্তায় যে অস্থায়ী বাঁশের ব্যারিকেড (Barricades) তৈরি করা হয়েছে তা শুক্রবারের মধ্যে…

Barricades removed puja committee

পুজো মিটেছে, শহরের রাস্তার ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল করতে উদ্যোগী কলকাতা পুলিশ। পুজো উপলক্ষে রাস্তায় যে অস্থায়ী বাঁশের ব্যারিকেড (Barricades) তৈরি করা হয়েছে তা শুক্রবারের মধ্যে সরিয়ে (removed) ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজো আয়োজক (puja committee)ও পূর্ত দপ্তরকে (PWD) এই সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, জগত মুখার্জি পার্ক, কুমারটুলি পার্ক, বাদামতলা আসার সংঘ, ৬৬ পল্লী, চেতলা অগ্রণীর মতো প্যান্ডেল গুলির বাইরে রাস্তার একটি বড় অংশ জুড়ে অস্থায়ী ব্যারিকেট তৈরি করা।

উৎসব শেষে অফিসমুখী হয়েছেন নৃত্য যাত্রীরা। তাই রাস্তায় যানবাহনের চাপ বাড়বে যে কারণে এই অস্থায়ী ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে চাইছে পুলিশ। এক গাড়ি চালকের কথায় রাস্তায় অস্থায়ী ব্যারিকেড থাকার ফলে গাড়ি চালাতে অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে। শুধু তাই নয় সে কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তার দু দিক দিয়ে ব্যারিকেড থাকায় ধীর গতিতে চালাতে হচ্ছে গাড়ি।

   

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের কাছে বিবি গাঙ্গুলী স্টেটে বেশ কয়েকটি জায়গায় অস্থায়ী ব্যারিকেডের ভিতরে অবৈধভাবে পার্ক করা রয়েছে গাড়ি। এই বিষয়ে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্যোক্তা সজল ঘোষ জানান। লক্ষী পুজোর পর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এই অস্থায়ী ব্যারিকেট সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু করবেন তারা। ব্যারিকেট থাকায় পথচারী থেকে গাড়ি চালক সকলেরই অসুবিধা হচ্ছে সে কথা মেনে নেন তিনি। এবং দ্রুত রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

মোহাম্মদ আলী পার্কের পুজো উদ্যোক্তা প্রভাত তিওয়ারি ও বেহালার নতুন দলের উদ্যোক্তা সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান বৃহস্পতিবার থেকে তারা কর্মী নিয়োগ করবেন এই ব্যারিকেড খুলে ফেলার জন্য। শুক্রবার থেকে পুজোর ছুটি শেষে খুলবে একাধিক স্কুল। তার আগে লালবাজার সমস্ত ট্রাফিক গার্ডকে অস্থায়ী ব্যারিকেড খুলে ফেলা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর দশমীর পর থেকেই রাস্তার অস্থায়ী ব্যারিকেট বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের কাট আউট ও খাবার বিক্রেতাদের ফুটপাথ থেকে তাদের স্থল সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। শিয়ালদা এবং কলেজ স্ট্রিট জুড়ে বেশিরভাগ অংশের কাজ মঙ্গলবার ও বুধবার এর মধ্যে শেষ হয়েছে।