Tet Scam: চাকরির দাবিতে আন্দোলনকারীকে কামড়ে দিলেন পুলিশকর্মী

টেট নিয়োগ দুর্নীতির (Tet Scam) প্রতিবাদ ও সরাসরি নিয়োগের দাবিতে বুধবার এক্সাইড মোড়ে ২০১৪ নট ইনক্লুডেড টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা জমায়েত করেন। বেলা বাড়তেই শুরু হয়…

টেট নিয়োগ দুর্নীতির (Tet Scam) প্রতিবাদ ও সরাসরি নিয়োগের দাবিতে বুধবার এক্সাইড মোড়ে ২০১৪ নট ইনক্লুডেড টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা জমায়েত করেন। বেলা বাড়তেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। অভিযোগ, এক চাকরিপ্রার্থীর হাতে কামড়ে দেন এক মহিলা পুলিশকর্মী।

Advertisements

এভাবে কেন কামড়ে দিলেন ওই পুলিশকর্মী। চলছে বিতর্ক। বিক্ষোভকারী মহিলাকে জোর করে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখনই এক মহিলা পুলিশকর্মী কামড়ে দেন বলে অভিযোগ।

বিজ্ঞাপন

এক্সাইড মোড় হয়ে ক্যামাক স্ট্রিটে তৃ়ণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিযেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে যেতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের বাধা দেয় পুলিশ। তখনই ওই মহিলা পুলিশকর্মী কামড়ে দেন বলে অভিযোগ।

এদিকে টেট পাশ নিয়োগের ক্ষেত্রে ক্রমাগত জটিলতা দেখা দিতে শুরু করেছে। ৮২ নম্বর পাওয়া ২০১৭-র টেট প্রার্থীরা উত্তীর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হলেও ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কেন তা হয়নি, তা নিয়েই মামলা হয় আদালতে। সেই মামলা শুনানিতে পর্ষদের বিরুদ্ধে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বেআইনি হলে পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানি চলাকালীন চাঁচাছোলা মন্তব্য করতে শোনা যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, ’দরকার পড়লে পরীক্ষা বন্ধ করে দেব’।

প্রধান বিচারপতি বলেছেন, পর্ষদ মোটেই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করছে না। তিনি আরও বলেন, আমি আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হচ্ছি। এখন যদি দেখি পর্ষদ আইন না মেনে কাজ করছে তবে পরীক্ষা বন্ধ দেব। 

শুনানিতে ‌বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, পর্ষদের আইনের ক্ষেত্রে কোনও বড় গলদ থাকলে পরীক্ষা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতে পারেন তিনি। তবে কী এবার পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি পরীক্ষা বন্ধ করার নির্দেশ দিতে পারেন? সেক্ষেত্রে কি নতুন করে জটিলতা তৈরি হবে? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।