৮০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে নিয়োগ দুর্নীতি (Tet Scam) ও চাকরির দাবিতে করুণাময়ীতে চলছিল টেট চাকরি প্রার্থীদের অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি। আদালতের নির্দেশে এপিসি ভবন চত্বরে ১৪৪ ধারা লাগু হওয়ার পর থেকেই তৎপর হয় পুলিশ। মাত্র দু মিনিটের মধ্যে তুলে নিতে বলা হয় অবস্থান বিক্ষোভ। ১৫ মিনিটের অপারেশনে খালি হয় করুণাময়ী। মধ্যরাতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। তবে কটাক্ষ উড়ে আসছে সিপিআইএম (CPIM) নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জির (Minakshi Mukherjee) দিকে।
শুক্রবার মধ্যরাতের কিছু আগে করুণাময়ীতে পুলিশের ঘেরাটোপের মাঝে ঢুকেছিলেন সিপিআইএম যুবনেত্রী মীনাক্ষী। তাঁর সাথে ছিলেন বাম ছাত্র যুব নেতারা। অনশনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন মীনাক্ষী। তিনি বলেছিলেন, পুলিশ এলে রক্ষা করব।
মধ্যরাত পেরিয়ে শুরু হয় পুলিশের অভিযান। কিন্তু ধরপাকড়ের সময় তারা কোথায় ছিলেন? এই প্রশ্ন উঠে গেল। ঘটনার সময় মীনাক্ষী ও বাম ছাত্র যুব নেতাদের দেখা যায়নি বলে অভিযোগ।
আরও অভিযোগ, প্রধান বিরোধী দল বিজেপির বিরুদ্ধেও। তাদেরকেও দেখা যায়নি।
গতকাল আদালতের নির্দেশ মেনেই মানবন্ধন করে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চাকরি প্রার্থীরা৷ তাই চার জন করে ভাগ হয়েই চালাচ্ছিলেন অবস্থান কর্মসূচি।
জানা গিয়েছে, ১৪৪ ধারা লাগু হওয়ার পরেই সেখানে মীনাক্ষীরা উপস্থিত হতেই চার জন প্রতিনিধিকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। এরপর চাকরি প্রার্থীদের পাশে সারা রাত থেকে আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গের তাপ বাড়িয়েছিলেন। ধরপাকড় শেষে বাম নেতৃত্বকে দেখা গেল থানায়। সেখানেও চাকরি প্রার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তারা।
ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে খবর, চাকরি প্রার্থীরা নিজেরাই চাইছিলেন না তাদের মঞ্চে কোনও রাজনৈতিক রঙ লাগুক। বরাবর রাজনীতি থেকে দূরে থাকা আন্দোলনকারীদের মঞ্চ প্রশ্ন তুলেছে সরকারের ভূমিকা নিয়ে। তাই এই মুহুর্তেও তারা চাননি রাজনীতির রঙ লাগুক। এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী, গতকালের ধরপাকড়ের পর নিখোঁজ তিন চাকরি প্রার্থী। খোঁজ শুরু হয়েছে।
রাজ্যজুড়ে বিরাট প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে বাম, কংগ্রেস, বিজেপি। জেলায় জেলায় কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে চান তারা৷