বাংলায় কারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে? ফাঁস করলেন তসলিমা

কলকাতা ১ অক্টোবর: গতকাল মঙ্গলবার বিশিষ্ট সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin) তার একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছিলেন বাংলায় যে মুসলিম সম্প্রদায় আছেন তাদের পূর্বপুরুষ সবাই…

Taslima Nasrin communal speech

কলকাতা ১ অক্টোবর: গতকাল মঙ্গলবার বিশিষ্ট সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin) তার একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছিলেন বাংলায় যে মুসলিম সম্প্রদায় আছেন তাদের পূর্বপুরুষ সবাই হিন্দু। এই বিতর্কিত পোস্টে শোরগোল হয় অনেক। আজ তিনি সেই বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে আরও একটি পোস্ট করে ফাঁস করলেন বাংলার ইসলামপন্থীদের পূর্বপুরুষ কারা।

Advertisements

তিনি বলেছেন “১৩ থেকে ১৯ শতক পর্যন্ত ধর্মান্তরণ ঘটে বাংলায়। কারা ইসলাম গ্রহণ করেছে সবচেয়ে বেশি? মূলত বাগদি, ডোম, কৈবর্ত্ত/মালো সম্প্রদায়। এরা মূলত দলিত/অচ্ছুত/অস্পৃশ্য। মুটে, মজুর, জেলে, কাঠুরে, কুমোর, মেথর, ডোম। নমঃশূদ্র বা চণ্ডালরাও ইসলাম গ্রহণ করেছে। ব্রাহ্মণ এবং কায়স্থদের মধ্যে খুবই কম করেছে। মূলত ওই দলিত/অচ্ছুত/অস্পৃশ্য আর নিম্নবর্ণ নমঃশূদ্র হিন্দুই বাঙালি মুসলমানের পূর্বপুরুষ।

   

Also Read | হিন্দু সংস্কৃতিই বাঙালি সংস্কৃতি: তসলিমা নাসরিন

জনপ্রিয়তা এবং বিতর্কের শীর্ষে থাকা তসলিমা নাসরিন স্পষ্টবাদী হিসেবেই জনসাধারণের কাছে পরিচিত। তিনি এখানেই থেমে থাকেননি। তিনি বাঙালি মুসলিমদের আক্রমণ করে বলেছেন তাদের শিক্ষা নেই, সভ্যতার ছোঁয়া নেই, এভাবেই শতাব্দির পর শতাব্দি তারা পার করেছে। বাঙালি মুসলমান পড়াশোনা শুরু করেছে খুব বেশিদিন হয়নি।

ইদানীং প্রযুক্তি ব্যবহার করছে বটে, কিন্তু মেধাবী নয়, অধিকাংশই সভ্য হয়নি। এদের কাছ থেকে এক্ষুণি খুব বেশি আশা করার নেই। তিনি বলেছেন “আরও কয়েক শতাব্দি উচ্চ শিক্ষা দরকার এদের যুক্তি বুদ্ধি মেধা মনন ধীশক্তি প্রখর হওয়ার জন্য। কিছু যে যুক্তিবুদ্ধিসম্পন্ন বাঙালি মুসলমানের দেখা পাওয়া যায় হঠাৎ হঠাৎ, তা জনসংখ্যার তুলনায় অতি সামান্য।

এদের বলা যেতে পারে ‘গোবরে পদ্মফুল’।” তার এই বিস্ফোরক পোস্টে এক সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষুব্ধ হলেও সিংহভাগ মানুষ তাকে সমর্থন করে বলেছেন এই ইসলাম ধর্মীরা কয়েকবছর আগে অব্দিও মাদ্রাসা ছাড়া কিছুই বুঝতো না। তবে খুব অল্পদিন হল এরাও আধুনিক শিক্ষার আলোয় আলোকিত হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এখনো কট্টরপন্থীদের এলাকাতে মাদ্রাসা এবং হাইওঘ মাদ্রাসার মত ধর্মীয় শিক্ষাঙ্গনগুলি ছাড়া গতি নেই বলেই অনেকে মন্তব্য করেছেন।

Also Read | টেস্ট সিরিজে গুরুত্ব নতুন মুখদের! বিশ্রাম পেলেন এই তিন তারকা

অনেকে এই সব শিক্ষা প্রাঙ্গনগুলির ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার ধারা নিয়েও সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন এই সমস্ত মাদ্রাসাগুলোতে এমনভাবে শিশুকাল থেকে ব্রেইনওয়াশ করা হয় তারপর পুরো প্রজন্ম কট্টরপন্থিতে পরিণত হয়। তবে তসলিমা বরাবর বিতর্কের কেন্দ্র বিন্দুতে থাকলেও তার চিন্তন এবং মনন বহু মানুষকে গভীর ভাবে ভাবতে শিখিয়েছে এবং ধর্মের উপরে উঠে চিন্তা করতে শিখিয়েছে।