নিউজ ডেস্ক: বিবৃতির চমক। প্রথমে আফগানিস্তানকে (Afghanistan) সার্বভৌম দাবি করা। কিছু পরে সব দেশের সঙ্গে কূটনীতি সুসম্পর্কের বার্তা। মার্কিন সেনার কাবুল ত্যাগের পর তালিবান যে বার্তা দিচ্ছে তাতে আন্তর্জাতিক মহল চমকে যাচ্ছে।
তবে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে প্রবল উদ্বেগে ভারত সরকার। গোয়েন্দা সতর্কতা যে কোনও সময়ে জম্মু-কাশ্মীরে তালিবান ঘনিষ্ঠ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নাশকতা ঘটাবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই নাশকতার পরিক্লপনা করছে জঙ্গি নেতা পাকিস্তানে থাকা মাসুদ আজাহার।
এদিকে দীর্ঘ ২০ বছর পর মঙ্গলবার ৩১ আগস্ট সকালেই মার্তিন যুক্তরাষ্ট্রের শেষ বিমানটিতে সেনাকর্মীরা আফগানিস্তান ছেড়ে যান। এরপরেই আফগানিস্তানের ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ ঘোষণা করেছে তালিবান। মার্কিন বাহিনি প্রত্যাহারের মুহূর্তকে ঐতিহাসিক আখ্যায়িত করে আফগানবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি। বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে তালিবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলে, আফগানিস্তানকে অভিনন্দন। এই বিজয় আমাদের সবার। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পুরো বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাই। সবার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী।
মার্কিন বাহিনির শেষ বিমানটি কাবুল ত্যাগ করার পর কাবুল বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালিবান। বিমানবন্দরে ঢুকেই ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে উদযাপন শুরু করে তারা।
মার্কিন বাহিনীর জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, ছয় হাজার মার্কিন নাগরিক সহ ৭৯ হাজার মানুষকে কাবুল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১৫ আগস্ট তালিবান কাবুল দখল করার পর অল্প সময়ের মধ্যে সব মিলিয়ে কাবুল থেকে এক লাখ ২৩ হাজার সাধারণ আফগানি ও বিদেশি বিভিন্ন দেশে পালিয়েছেন।
গত এপ্রিলেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার সেনা প্রত্যাহার শেষ করল ওয়াশিংটন।