অভিষেকের দেখানো পথেই শেষমেষ শুভেন্দু অধিকারী? গেল চিঠি

তৃণমূলের অস্ত্রেই শাসক দলকে রীতিমতো কুপোকাত করতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই যেন ময়দানে নামতে…

তৃণমূলের অস্ত্রেই শাসক দলকে রীতিমতো কুপোকাত করতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই যেন ময়দানে নামতে চলেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু। এবার তিনিও রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসার হুঁশিয়ারি দিলেন।

আজ শনিবার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদে রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর অনুমতি চেয়ে আমি পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনও প্রতিউত্তর মেলেনি। ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার ১০০ জনকে নিয়ে আগামীকাল রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করব।”

   

নগরপালকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দু উল্লেখ করেছেন, তৃণমূলকে ওই জায়গায় ধরনার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তাই বিজেপির ক্ষেত্রে ১৪৪ ধারার প্রয়োগ না করার অনুরোধ করেছেন। 

উল্লেখ্য, লোকসভা ভোট পরবর্তী রাজ্যে ব্যাপক হিংসার অভিযোগ রয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন বিভিন্ন দলের কর্মী, সমর্থকরা। এদিকে দুদিন আগেই বিজেপির ঘর ছাড়াদের নিয়ে রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হন শুভেন্দু। যদিও তিনি শেষ মুহূর্তে ঢুকতে পারেন না। আর এই নিয়েই প্রবল রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে।

অন্যদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে এবার বড় মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যপাল সঠিক প্রশ্নই তুলেছেন। এটা গণতন্ত্রকে লজ্জায় ফেলে দিচ্ছে। রাজ্যপাল হলেন সংবিধানের রক্ষক, আর আক্রান্তরা যদি রাজ্যপালের কাছেও পৌঁছতে না পারেন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী চান? বিজেপি সমর্থকরা কি তাহলে আত্মহত্যা করবে? যদি তাই হয়, তাহলে ওঁর এগিয়ে এসে বলা উচিত।”