অবশেষে SSC কাণ্ডে প্রকাশ হল অযোগ্যদের তালিকা (Supreme Court)। সন্ধে ৭ তার সময় এই তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তার চেয়েও এক ঘন্টা পরে এই তালিকা প্রকাশ হয়।মোট ১৮০৪ নাম জন অযোগ্যের নাম রয়েছে।
তালিকা জুড়ে একাধিক তৃণমূল নেতা এবং তৃণমূল নেতা ঘনিষ্টদের নাম। দাগি তালিকায় রাজপুরের কাউন্সিলার কুহেলি ঘোষ, পিংলার তৃণমূল নেতা অজয় মাজি, আরামবাগের তৃণমূল নেতার স্ত্রী নমিতা আদক এবং আছেন হিঙ্গল গঞ্জের তৃণমূল সভানেত্রীর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা মন্ডল। তৃণমূল বিধায়কের কন্যা থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতার স্ত্রী এবং অঞ্চল সভাপতির নাম রয়েছে এই তালিকায়। তালিকায় নবম দশম ভাগ করা হয়নি।
২০১৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (ডব্লিউবিএসএসসি) কর্তৃক পরিচালিত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্ট গত বছর এই নিয়োগ প্যানেল বাতিল করে এবং ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল করে দেয়। এই রায় সুপ্রিম কোর্টেও বহাল থাকে, যা তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হয়।
এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে তৃণমূলের শীর্ষ নেতা ও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবনকৃষ্ণ সাহা গ্রেফতার হয়েছেন। এবার নতুন করে যে তালিকা প্রকাশিত হতে চলেছে, তাতে আরও কিছু তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির নাম প্রকাশ পাওয়ায় দলের অস্বস্তি আরও বাড়ছে।
সূত্রের খবর, অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকায় একজন তৃণমূল বিধায়কের কন্যার নাম রয়েছে, যিনি নাকি এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিলেন। এছাড়া, তৃণমূল নেতার স্ত্রী এবং একজন অঞ্চল সভাপতির ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির নামও এই তালিকায় রয়েছে বলে জানা গেছে। এই ব্যক্তিরা নাকি ঘুষের বিনিময়ে বা ওএমআর শিটে কারচুপির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিলেন।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই তালিকা প্রকাশের জন্য ডব্লিউবিএসএসসি প্রস্তুতি নিচ্ছে, এবং এই তালিকা প্রকাশিত হলে তৃণমূলের রাজনৈতিক অবস্থান আরও দুর্বল হতে পারে। এই কেলেঙ্কারির তদন্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) যৌথভাবে কাজ করছে।
ইডি ইতিমধ্যে জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসি এবং তৃণমূল কাউন্সিলর মায়া সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে। মায়া সাহা দাবি করেছেন যে তিনি এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত নন এবং তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোনো দুর্নীতির টাকা জমা পড়েনি।
তবে, ইডি সূত্রে জানা গেছে, জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রী তাগোরি সাহার অ্যাকাউন্টে ২৬ লক্ষ টাকা এবং তার বাবার অ্যাকাউন্টে ২০ লক্ষ টাকা স্থানান্তরিত হয়েছিল, যা এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।