ইডি সমনের বিরুদ্ধে অভিষেকের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

সুপ্রিম কোর্ট সোমবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সমনকে চ্যালেঞ্জ করে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এবং তাঁর স্ত্রী-রুজিরার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। স্বামী এবং স্ত্রী কলকাতাকে তাঁদের…

সুপ্রিম কোর্ট সোমবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সমনকে চ্যালেঞ্জ করে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এবং তাঁর স্ত্রী-রুজিরার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। স্বামী এবং স্ত্রী কলকাতাকে তাঁদের সাধারণ আবাসস্থল হিসেবে কলকাতাকে দাবি করে এবং ইডি সমনকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন যে দিল্লিতে তাঁদের আশা অসম্ভব। বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চ আজ এই রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চ জানায় যে তাঁরা রায়দান তাঁরা ১৩ আগস্ট করবেন।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন যে ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) বিধানগুলি সমনগুলিতে প্রযোজ্য হওয়া উচিত, যেহেতু ২০০২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এই বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কোনও পদ্ধতি প্রদান করে না। তাঁরা এই যুক্তি দিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন যে তাঁদের শুধুমাত্র কলকাতায় হাজির হতে বলা যেতে পারে কারণ অপরাধটি সেখানেই সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে নয়।

   

রায়দানের সময় বিচারপতিরা বলেন, “.. আমরা পিএমএলএ এর ধারা ৫০ এর অধীনে আপীলকারীদের জারি করা সমনকে চ্যালেঞ্জের করার মতো কোন উপাদান খুঁজে পাই না। ধারা ৫০ এর উপ-ধারা (৩) এ বলা হয়েছে, যে তলব করা সমস্ত ব্যক্তি ব্যক্তিগতভাবে বা অনুমোদিত এজেন্টদের মাধ্যমে উপস্থিত থাকতে বাধ্য। তাঁরা অফিসার যেমন নির্দেশ দেবেন এবং যে কোনও বিষয়ে সত্য প্রকাশ করতে বলেন, সে ক্ষেত্রেও উত্তরে দিতে বাধ্য তাঁরা। যে কোনও পরীক্ষা বা বিবৃতি বা প্রয়োজনীয় নথিও উপস্থাপন করতে হতে পারে তাঁদের।”

সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে একাধিক ‘সুপ্রিম’ প্রশ্ন

আদালত উল্লেখ করেছে যে উপ-ধারা (৪) অনুসারে উপ-ধারা (২) এবং (৩) এর অধীনে প্রতিটি কার্যক্রমকে আইপিসির ধারা ১৯৩ এবং ধারা ২২৮ এর অর্থের মধ্যে একটি বিচারিক প্রক্রিয়া বলে গণ্য করা হয়। শীর্ষ আদালত মন্তব্য করে, “ধারা ৬৩-এর উপ-ধারা (৪) অনুসারে, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ধারা ৫০ এর অধীনে জারি করা কোনও নির্দেশ অমান্য করবে, তাঁর বিরুদ্ধে আইপিসি-এর বিরুদ্ধে ১৭৪ ধারার অধীনে বিচার করা হবে।”

আদালত বলেছে যে ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর, রুজিরা ব্যানার্জির ২০২১ এর ৪ অগাস্ট এবং ১৮ অগস্টের সুমনের উত্তরে জমা দেওয়া স্ট্যাটাস রিপোর্টে প্রয়োজনীয় নথিগুলি দেওয়া হয়নি। ইডি তাই তাঁদের বিরুদ্ধে ৬৩ পিএমএল এ ধারা ১৭৪ এইপিসি -এর অধীনে নয়াদিল্লির চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পাতিয়ালা হাউস কোর্টের আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শীর্ষ আদালত তাঁদের রায়ে বলেছে, “এটা বলাই যথেষ্ট যে আমরা সংশ্লিষ্ট আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আদেশে কোন বেআইনিতা খুঁজে পাই না এবং উল্লিখিত অভিযোগটি আইন অনুযায়ী উল্লিখিত আদালতের দ্বারা আরও এগিয়ে যাওয়া হবে।”