সিসিটিভি ফুটেজে ক্রটি, ফের সিবিআইয়ের স্ট্যাটাস রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট

কেটে গিয়েছে এক মাস। আজও বিচার পায়নি তিলোত্তমা। আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) তিলোত্তমার ন্যায়বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে কাতারে কাতারে মানুষ। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে…

কেটে গিয়েছে এক মাস। আজও বিচার পায়নি তিলোত্তমা। আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) তিলোত্তমার ন্যায়বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে কাতারে কাতারে মানুষ। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ছিল সেই মামলার শুনানি। এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। যার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল আমজনতা। আজ সোমবার এই মামলার শুনানির প্রথম থেকেই প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুনের (RG Kar Rape-Murder Incident) মামলার শুনানি চলাকালীন মৃতদেহের পোস্টমর্টেমের সময় থেকে সিসিটিভি ফুটেজের (CCTV Footage) ‘টেকনিক্যাল গ্লিচ’-এর ইস্যু সম্পর্কে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল সিবিআই। সিসিটিভি ফুটেজের ক্রটি বোঝাতেই ‘টেকনিক্যাল গ্লিচ’ কথাটির ব্যবহার করা হয়।

   

আরজি কর কাণ্ডের বিষণ্ণতার সুর উত্তর থেকে দক্ষিণে, জনশূন্য পুজোর বাজার

ঘটনার পরদিন অর্ধনগ্ন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তরুনীর দেহ। নির্যাতিতার শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়, তাঁর নিম্নাঙ্গের পোশাক ও অন্তর্বাসও খোলা ছিল বলে এদিন সুপ্রিম কোর্টকে জানায় সিবিআই। তারপর নমুনা নিয়ে রাজ্য তা সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাব্রেটরিতে (CFSL) পাঠায়।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই প্রশ্নের উত্তরে আদালতের প্রধান বিচারপতি জানতে চান নমুনা সংগ্রহ করেছিল কারা? এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতে সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি প্রশ্ন করেন, “সন্ধ্যা ৬টার পর কোনও দেশে ময়নাতদন্ত করার আইন নেই। এই ক্ষেত্রে সেটা কেন করা হল?” এছাড়াও মৃতদেহের নমুনা সংরক্ষণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি জানতে চান চিকিৎসকেরা কি সঠিক তাপমাত্রায় নমুনা সংরক্ষণ করেছিলেন? রাজ্যকে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “ময়নাতদন্তের চালান দেওয়া হয়েছে কি সিবিআইকে?” উত্তরে সিবিআই জানায় যে তারা কোনও চালান পায়নি।