ফের আরজি কর কাণ্ডে সরব হলেন তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ সুখেন্দু শেখার রায় (Sukhendu Sekhar Ray)। এবার খোদ গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে ইঙ্গিতপূর্ণ করলেন তিনি। এর আগে বাস্তিল দুর্গ ধ্বংসের কথা মনে করিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন তিনি। তার পরেই আবার একটি পোস্ট করলেন তিনি। সেখানে উদৃত করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন ফেডারেল বিচারককে।
সোমবার, আরজি কাণ্ডের শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ফলে দিনটিও গুরুত্বপূর্ণ। ওই দিনেই তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে সুখেন্দু শেখার রায় একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, “লার্নড হ্যান্ড, ৫২ বছর ধরে নিউইয়র্কের ফেডারেল বিচারক এবং বিল অফ রাইটসের একজন ইন্টারপ্রেটার একবার বলেছিলেন, “আমরা যদি আমাদের গণতন্ত্র বজায় রাখতে চাই তবে একটি আদেশ থাকতে হবে: আপনি ন্যায়বিচারের সঙ্গে আপোষ করতে পারবেন না।” এর পরেই তাঁর পোস্টে ন্যায়বিচারের দাবী জানান তিনি।
মঙ্গলবার ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস বঙ্গে, কোন কোন জেলায় চলবে বৃষ্টি? জেনে নিন
Learned Hand, a federal judge of New York for 52 years and interpreter of Bill of Rights once said, “ If we are to keep our Democracy, there must be one commandment: Thou shalt not ration justice.” WE DEMAND JUSTICE.
— Sukhendu Sekhar Ray (@Sukhendusekhar) September 9, 2024
এর আগেই জুলাইয়ে বাস্তিল দুর্গ ধ্বংসের কথা মনে করিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন সুখেন্দু শেখার রায়। এবার তিনি পোস্টে লিখেছেন, ‘জুলাই, ১৭৮৯….বাস্তিল দুর্গ মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। জন্ম হয়েছিল ঐতিহাসিক ফরাসি বিপ্লবের’। সেবার তাঁর পোস্টটি ঘিরে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।
JULY 1789… Bastil Fort razed to ground by the agitating people, giving birth to historic French Revolution. pic.twitter.com/PGrmGTRSqr
— Sukhendu Sekhar Ray (@Sukhendusekhar) September 1, 2024
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও, এর আগেও গত ১৪ অগস্ট মেয়েদের রাত দখল অভিযানকে সমর্থন করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। শুধু তাই নয় আরজি করের ডাক্তারদের প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়ে ধর্ণা মঞ্চেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এর ফলে তাঁকে লালবাজারে তলব করে কলকাতা পুলিশ। তবে মাত্র দুবারই হাজিরা এড়িয়ে যান তৃণমূলের এই প্রবীন সাংসদ। গ্রেফতারি এড়ানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হন তিনি।
এর আগে তিনি কেন এই ধরণের পোস্ট করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, সুখেন্দু শেখার বলেছিলেন, “আমি তো একটা অসামাজিক জীব নই, যে সমাজে একটা ঘটনা ঘটবে, আর আমি দেখেও চোখ বন্ধ করে থাকব, অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ করা যায় নাকি?” আরজি কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে দিকে দিকে বেড়েই চলেছে প্রতিবাদের ঢেউ। রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি সাধারন নাগরিকেরাও পথে পা মেলাচ্ছেন প্রতিদিন। আজ সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি। আরজি কর মামলার শুনানির দিনই কেন এমন ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করার জন্য বাঁচলেন তৃণমূল সাংসদ? উঠছে প্রশ্ন।