বিজেপির বঙ্গ ফাইল খুলছে আবার! শমীকের উত্থানে দিল্লির ইঙ্গিত স্পষ্ট?

রাজ্য রাজনীতিতে বড়সড় পরিবর্তনের আভাস। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি (BJP) পদে মুখবদলের পালা এবার যেন অবশ্যম্ভাবী। সূত্র মারফত খবর, সুকান্ত মজুমদারের মেয়াদ আর বাড়ানো হচ্ছে…

BJP Eyes Change in Bengal Unit: Samik Bhattacharya Could Take Over from Sukanta Majumdar

রাজ্য রাজনীতিতে বড়সড় পরিবর্তনের আভাস। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি (BJP) পদে মুখবদলের পালা এবার যেন অবশ্যম্ভাবী। সূত্র মারফত খবর, সুকান্ত মজুমদারের মেয়াদ আর বাড়ানো হচ্ছে না। ফলে নেতৃত্বে বদল এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আগামী ২ জুলাই মনোনয়ন জমা এবং প্রত্যাহারের দিন ধার্য করা হয়েছে, আর (BJP) ৩ জুলাই নির্বাচন এবং ফলাফল ঘোষণা। এই নির্বাচনের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির রিটার্নিং অফিসার দীপক বর্মন।(BJP) 

কিন্তু কার হাতে উঠতে চলেছে বঙ্গ বিজেপির হাল? রাজনৈতিক মহলে এখন একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে—সুকান্তর(BJP) উত্তরসূরি কে? এই প্রশ্নের উত্তরে উঠে আসছে একটি নাম বারবার—শমীক ভট্টাচার্য। ‘(BJP) আদি’ বিজেপি নেতা, বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ, এবং বহু পুরনো সংগঠক হিসেবে পরিচিত শমীককে ঘিরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। এমনকি রবিবার রাতে দিল্লিতে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাসভবনে তাঁর দীর্ঘ বৈঠক সেই সম্ভাবনাকেই আরও জোরদার করেছে(BJP) 

   

যদিও শমীক নিজে বৈঠকের বিষয়ে দাবি করেছেন যে, তিনি সম্প্রতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন, এবং সেই সংক্রান্ত তথ্য জানাতেই (BJP) তিনি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু রাজনৈতিক মহল এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয়। কারণ, এর ঠিক আগে থেকেই বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বে রদবদলের আলোচনা গোপনে গোপনে চলছিল। বিশেষত, ছাব্বিশে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনের কাঠামো ঢেলে সাজানো এখন অত্যন্ত জরুরি বলেই মনে করছে দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব(BJP) 

গত কয়েক মাস ধরে বারবার দেখা গেছে, রাজ্যের গেরুয়া শিবির সাংগঠনিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে। একের পর এক নির্বাচনে দলীয় ফল আশানুরূপ হয়নি। বুথ স্তরে সংগঠন নেই বললেই চলে। এই বাস্তব চিত্র বুঝেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও রাজ্য পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল একাধিকবার রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দেওয়া হয়েছে স্পষ্ট বার্তা—ভোটে লড়াই করতে হলে মাঠে নামতে হবে, শুধুমাত্র ফেসবুক লাইভে বক্তব্য দিয়ে সংগঠন গড়া যাবে না(BJP) 

এই প্রেক্ষাপটে নতুন নেতৃত্বের সন্ধানে নামা কার্যত বাধ্যতামূলক হয়ে উঠেছিল। (BJP) সেই জায়গায় শমীক ভট্টাচার্যের নাম উঠে আসাটাই স্বাভাবিক। কারণ, দিলীপ ঘোষের মতো প্রবীণ (BJP) নেতার নাম এই আলোচনায় উঠে না আসা, অনেক কিছুই বলে দেয়। সূত্রের খবর, দিলীপকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও সংঘ—দুই পক্ষ থেকেই কিছুটা দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। একসময় বঙ্গ বিজেপির অন্যতম মুখ হয়ে ওঠা দিলীপ ঘোষের ‘বেফাঁস’ মন্তব্য এবং বিতর্কিত অবস্থান সম্ভবত তাঁকে নেতৃত্ব থেকে দূরে সরিয়েছে(BJP) 

Advertisements

তবে বিজেপির অন্দরে শমীকের সম্ভাব্য আগমনকে ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।(BJP) কেউ কেউ মনে করছেন, তিনি একটি ‘সেফ’ অপশন। দিল্লির কাছে গ্রহণযোগ্য, আবার তৃণমূল থেকে আসা কোনও নেতার মতো অতীত ঘিরে বিতর্ক নেই। অন্যদিকে, অনেকে বলছেন, শমীকের মধ্যে প্রচারের ঝাঁঝ নেই, মাঠের কর্মীদের সঙ্গে ততটা সংযোগও নেই, যা কিনা ভবিষ্যতের লড়াইয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে(BJP) 

সব মিলিয়ে ৩ জুলাই বিজেপির রাজ্য(BJP) সভাপতি পদে নির্বাচন শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ, সূত্র বলছে—মনোনয়নের খামে হয়তো একটাই নাম থাকবে, আর সেটি শমীক ভট্টাচার্যের। সেই নামই যদি নির্বাচনের পর বেরিয়ে আসে, তাহলে বলা যেতেই পারে—বঙ্গ বিজেপিতে ‘শমীক যুগ’-এর সূচনা ঘটল(BJP) 

এখন দেখার বিষয়, নতুন নেতৃত্ব বিজেপির পুরনো জড়তা কাটিয়ে সংগঠনকে কতটা চাঙা করতে পারে, আর ২০২৬-এর মহারণে আদৌ কি তৃণমূলের ঘাঁটি নড়াতে সক্ষম হবে?(BJP)