দিনের আলোয় আঁধার ঘনাল হাই কোর্টে! থামল বিচার প্রক্রিয়া, হঠাৎ কী হল?

কলকাতা: আকাশে সূর্য তখন জ্বলজ্বল করছে৷ আচমকাই কলকাতা হাই কোর্টে নেমে এল আঁধার৷ বন্ধ হল এজলাসের কাজ৷ শুধু এজলাস নয়, অন্ধকারে থমকে গেল হাই কোর্টের চারটি…

Calcutta High Court: Chief Justice's Stern Warning on Illegal Construction – 'If People Die, Will You Wake Up

কলকাতা: আকাশে সূর্য তখন জ্বলজ্বল করছে৷ আচমকাই কলকাতা হাই কোর্টে নেমে এল আঁধার৷ বন্ধ হল এজলাসের কাজ৷ শুধু এজলাস নয়, অন্ধকারে থমকে গেল হাই কোর্টের চারটি লিফট, একাধিক এক্সেলেটর। এদিকে, মাঝপথে লিফট থমকে যাওয়ায় আটকে পড়েন আইনজীবী ও মামলাকারীরা। কয়েক মুহূর্তের জন্য আতঙ্ক ছড়ায় হাই কোর্ট চত্বরে। হঠাৎ কী হল? পরে জানা যায়, এই আঁধারের নেপথ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট৷ লোডশেডিংয়ের জেরেই হাই কোর্টের একাংশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে৷ তাই এই বিপত্তি।

ঘড়িতে তখন ১১টা বেজে ৩৯ মিনিট৷ আচমকাই অন্ধকার হয়ে যায় কলকাতা হাই কোর্টের একাংশ৷ সেই সময় হাই কোর্টের ২৭ নম্বর থেকে ৩৪ এবং ৪০ থেকে ৪৪ নম্বর কোর্টে চলছিল বিভিন্ন মামলার বিচার প্রক্রিয়া৷ আচমকাই আলো নেভে৷ থমকে যায় বিচার প্রক্রিয়া। প্রায় ৭ থেকে ৮ মিনিট লোডশেডিং ছিল হাই কোর্টের ওই অংশে। পরে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরলে সবকিছু আগের মতোই স্বাভাবিক হয়ে যায়৷ তবে এই ঘটনা একেবারেই বেনজির৷

   

হাই কোর্টের আইনজীবীরা বলছেন, কলকাতা হাই কোর্টের ইতিহাসে লোডশেডিংয়ের ঘটনা নজিরবিহীন৷ এভাবে হাই কোর্টে লোডশেডিং হয় না৷ এদিন কেন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাই কোর্টের নতুন বিল্ডিংয়ের একাংশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। তবে আদালতের বাকি অংশে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিকই ছিল।

লিফটে আটকে পড়া এক আইনজীবীর বলেন, ‘‘লিফটে আমার সঙ্গে আরও ১০ জন আটকে পড়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে কিছু বয়স্ক মামলাকারীও ছিলেন। আচমকা লিফটে আটকে যাওয়ায় সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে বাইরে থেকে আমাদের লিফট থেকে উদ্ধার করা হয়।”