হাওড়া, ৭ অক্টোবর: ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়ককে মারধরের ঘটনায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে প্রবল প্রতিবাদ। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ— সর্বত্রই রাস্তায় নেমে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলার অভিযোগ তুলে লাগাতার বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছে বিজেপি। সেই প্রতিবাদেরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার হাওড়া ব্রিজের একাংশ কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়ে।
সূত্র অনুযায়ী, হাওড়ার (Howrah Bridge ) বুকে বিজেপির ডাকে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত হয়। মূলত, দলের মহিলা মোর্চা এই কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিল। বিজেপির দাবি, যেভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে তাদের জনপ্রতিনিধিদের ওপর হামলা হয়েছে, তা কোনও সভ্য সমাজে বরদাস্ত করা যায় না। এই ঘটনার বিচার দাবি করেই তারা রাস্তায় নামে।
মিছিল হাওড়া ব্রিজের দিকে এগোতেই পুলিশ আগে থেকেই মোতায়েন ছিল। ব্রিজের মুখে গার্ডরেল বসিয়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয়। সেখানেই শুরু হয় গন্ডগোল। বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একাধিক বিক্ষোভকারী দাবি করেন, পুলিশ তাদের শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছে। অপরদিকে, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জনসাধারণের নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনওরকম বলপ্রয়োগের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
প্রতক্ষ্যদর্শীদের মতে, পরিস্থিতি ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ব্রিজের উপর যান চলাচল থমকে যায়। বিশাল যানজট তৈরি হয় হাওড়া ও কলকাতার সংযোগকারী এই গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজের দুই প্রান্তে। অফিস টাইমে এমন অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন।
হাওড়া স্টেশনগামী অসংখ্য যাত্রী, কর্মব্যস্ত অফিসযাত্রী, এমনকি অ্যাম্বুলেন্সও আটকে পড়ে এই বিশৃঙ্খলার মাঝে। বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। দলের এক জেলা নেতৃত্ব বলেন, “ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে আমাদের সাংসদ ও বিধায়ককে যেভাবে মারধর করা হয়েছে, তা একপ্রকার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। সেই ঘটনার প্রতিবাদেই আমরা পথে নেমেছি। অথচ আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভেও পুলিশ বলপ্রয়োগ করছে।”