লোকসভা নির্বাচনে ‘সংবিধান বাঁচাও’ স্লোগান দিয়ে বিরোধীরা, বিশেষত প্রদেশ কংগ্রেস (State Congress), সফলতা পেয়েছিল। এবার সেই স্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী ২৬ নভেম্বর, সংবিধান (Constitution) দিবস উপলক্ষে রাজ্যের সমস্ত স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের (Students) উপহার (Gift) হিসেবে বিতরণ করা হবে সংবিধানের কপি। এই উদ্যোগের মাধ্যমে কংগ্রেস সংবিধান এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্পর্কে আরও সচেতনতা সৃষ্টি করতে চায়।
এই উদ্যোগের বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার জানান, “সংবিধান আমাদের দেশের মূল ভিত্তি, এবং এই দিনটি আমাদের সকলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই, আগামী প্রজন্মের প্রতিটি সদস্য এই সংবিধান সম্পর্কে সচেতন হোক এবং তার মূলনীতি মেনে চলুক।” তিনি আরও জানান, সংবিধান দিবসের দিন রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে সংবিধানের কপি উপহার হিসেবে দেওয়া হবে এবং ছাত্রদের মধ্যে সংবিধানের মৌলিক ভাবনা ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
এছাড়া, এই দিনই রাজ্যের বিভিন্ন শহরে কংগ্রেস দল একটি পদযাত্রার আয়োজন করবে, যার মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীরা আবারও সংবিধানের গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করবেন। পদযাত্রা শুরু হবে বিদ্যাসাগর মূর্তি থেকে এবং শেষ হবে নেতাজি মূর্তির কাছে। এই পদযাত্রায় কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা সংবিধানের কপি হাতে নিয়ে অংশগ্রহণ করবেন এবং জনগণের মধ্যে সংবিধান সম্পর্কিত প্রস্তাবনাও পাঠ করবেন।
কংগ্রেস নেতারা জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী ও অন্যান্য নেতারা সব সময়ই সংবিধান এবং তার অধিকার রক্ষা নিয়ে জনসভায় বক্তব্য রেখেছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে, বিজেপি ৪০০ আসন পাওয়ার পর সংবিধান পরিবর্তনের যে আশঙ্কা প্রকাশিত হয়েছিল, তা কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলের প্রচারণার মুখ্য বিষয় ছিল। রাহুল গান্ধী জনগণের কাছে বারবার বলেছেন, “এই নির্বাচন ছিল সংবিধান বাঁচানোর লড়াই।”
এই পদক্ষেপটি আরও গভীরভাবে দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় এবং সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখতে কংগ্রেসের দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কংগ্রেস নেতাদের মতে, রাজ্যে সংবিধান দিবস উদযাপন এবং সংবিধান বিতরণের মাধ্যমে তারা জনগণের মধ্যে সংবিধানের মূল্য এবং তার অক্ষুণ্ণ সংরক্ষণ সম্পর্কিত সচেতনতা সৃষ্টি করতে চায়।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেসের এই উদ্যোগের জন্য ইতিমধ্যেই ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। শুভঙ্কর সরকার বলেন, “আমরা আশা করছি, জনগণ এই উদ্যোগের সঙ্গে যোগ দিয়ে সংবিধানের রক্ষা এবং তার আদর্শ রক্ষায় আমাদের পাশে থাকবে।”