বৃহস্পতিবার মহানায়কের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত হল মহানায়ক স্মরণ ও সম্মাননা অনুষ্ঠান(Mahanayak Award)। প্রতি বছরের মতো এবারও রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দক্ষিণ কলকাতার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে আয়োজন করা হয়েছে এই শ্রদ্ধার্ঘ্য অনুষ্ঠান, যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উত্তমকুমারের পরিবারের সদস্যরা সহ তাঁর নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তী, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, অম্বরীশ ভট্টাচার্য সহ আরোও অনেকেই।
২০১৩ সাল থেকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রথম ‘মহানায়ক’ সম্মান দেওয়া হয়। প্রথম সেই সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকে প্রতিবছর এই সম্মান গ্রহণ করছেন তারকারা।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এবারের পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ও তাঁদের উল্লেখযোগ্য অবদান:
অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী: দীর্ঘ অভিনয় জীবনে বহু প্রশংসিত সিনেমায় অভিনয় করেছেন গার্গী, যার মধ্যে রয়েছে ‘ইতি মৃণালিনী’, ‘খাদ’, ও ‘হামি’। তাঁর সাবলীল অভিনয় বারবার দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।
ইমন চক্রবর্তী: ‘প্রাক্তন’ সিনেমার ‘তুমি যাকে ভালোবাসো’ গানের জন্য জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই গায়িকা বাংলা গানের জগতে এক গুরুত্বপূর্ণ নাম। লোকগীতি, রবীন্দ্রসঙ্গীত ও আধুনিক গানে তাঁর দখল প্রশংসিত।
গৌতম ঘোষ: প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, ‘মনের মানুষ’ প্রভৃতি ছবি বাংলা চলচ্চিত্রের গর্ব। পাশাপাশি বিসমিল্লাহ খান, সত্যজিৎ রায়, দলাই লামা ও কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিত্বদের নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ করেও তিনি প্রশংসিত হয়েছেন।
রূপঙ্কর বাগচি: বাংলা সংগীত জগতে এক সুপরিচিত নাম। ‘বাইশে শ্রাবণ’, ‘হেমলক সোসাইটি’ সহ বহু সিনেমায় জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি। তাঁর কণ্ঠে গাওয়া ‘এ তুমি কেমন তুমি’ গানটি জাতীয় স্বীকৃতি পেয়েছে।
সোমনাথ কুণ্ডু: কয়েক যুগ ধরে, চলচ্চিত্রে মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন সোমনাথ কুণ্ডু। বাংলা সিনেমায় প্রস্থেটিক ব্যবহারের কান্ডারী বললেও ভুল হয় না সোমনাথকে।
আনন্দ আঢ্য: জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রোডাকশন ডিজাইনার আনন্দ আঢ্য ‘অপরাজিত’, ‘অটোগ্রাফ’, ‘বাইশে শ্রাবণ’, ‘ডবল ফেলুদা’ এবং ‘হেমলক সোসাইটি’র মতো প্রশংসিত ছবিতে কাজ করেছেন।
এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণ হল, বাংলা চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি জগতের প্রতি রাজ্য সরকারের সম্মান ও শ্রদ্ধা অবিচল। মহানায়কের প্রয়াণ দিবসে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এমন অনুষ্ঠান সত্যিই প্রশংসনীয়।