স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ফের আলোড়ন। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজের সিবিআই জেরা আটকাতে যে আবেদন করেছিলেন হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে, তার বিচারপতি সরে গেলেন।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই জেরার মুখোমুখি হতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিবিআই এক ধাপ জেরা করেছে। জেরা আটকাতে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বুধবার আবেদনে ত্রুটি থাকার কারণে মামলা গ্রহণ করেনি আদালত। বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পার্থবাবুর আবেদন করা মামলা থেকে সরে দাঁড়াল বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি সহ সাতটি মামলার প্রেক্ষিতে গতকাল সমস্ত স্থগিতাদেশ তুলে নেয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দকুমার মুখ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলা চলে যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। আদালতের কাছে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সিবিআই হাজিরার যে নির্দেশনামা ছিল তা পেরিয়ে গেছে। এই মুহুর্তে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন তা যেন গ্রহণ করা হয়। এরপরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সিঙ্গেল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা। কিন্তু মামলা গ্রহণ না হওয়ায় সিবিআই হাজিরার মুখোমুখি হতে হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সাড়ে তিন ঘন্টা ধরে নিজাম প্যালেসে তাঁকে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে হয়।
বৃহস্পতিবার সেই মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা। সেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা ছিল দুপুরে। কিন্তু মামলা থেকে সরে দাঁড়াল বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।