SSC Scam: বামফ্রন্টের মিছিলে মাথায় তোয়ালে মোড়া ‘চোর’ ঢুকল

চোর চোর চোর চোর…সিপিআইএমের মিছিল থেকে আওয়াজ। চোর ধরা পড়ল। তাকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে মাথায় তোয়ালে দিয়ে ঢেকে নিয়ে চললেন বাম সমর্থকরা। তাঁদের গন্তব্য ধর্মতলা।…

SSC Scam: বামফ্রন্টের মিছিলে মাথায় তোয়ালে মোড়া 'চোর' ঢুকল

চোর চোর চোর চোর…সিপিআইএমের মিছিল থেকে আওয়াজ। চোর ধরা পড়ল। তাকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে মাথায় তোয়ালে দিয়ে ঢেকে নিয়ে চললেন বাম সমর্থকরা। তাঁদের গন্তব্য ধর্মতলা। সেখানে টানা ৫০০ দিন ধরে চাকরির দাবিতে অবস্থান করছেন এসএসসি (SSC Scam) চাকরি প্রার্থীরা।

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকা সমেত তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখার্জি ধৃত। রাজ্য জুড়ে চলছে ইডি অভিযান। পার্থ ও অর্পিতার জেরা চলছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীদের ধর্নামঞ্চে তিনটি মিছিল নিয়ে বিরাট জমায়েত করে বামফ্রন্ট। মিছিলে অংশ নেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সহ শরিক দলগুলির নেতা ও সমর্থকরা।

SSC Scam: বামফ্রন্টের মিছিলে মাথায় তোয়ালে মোড়া 'চোর' ঢুকল

বামফ্রন্ট মিছিলে ধৃত চোর আসলে প্রতীকী। ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ভুবনেশ্বরে এইমসে পরীক্ষার জন্য নিয়ে গিয়েছিল ইডি। সেখানে তাঁকে হুইল চেয়ারে যেভাবে নিয়ে যাওয়া হয়। ঠিক সেভাবেই মিছিলে এক ব্যক্তিকে সাজানো হয়। ভুবনেশ্বরের এইমসে রোগীদের আত্মীয়রা যেভাবে চোর চোর বলে চিৎকার করেছিলেন মিছিল থেকে সেরকমই আওয়াজ তোলা হয়।

ধর্নামঞ্চ থেকে বামেদের দাবি, রাজ্য জুড়ে সীমাহীন দুর্নীতির মধ্যমণি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই।দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে হাওড়া স্টেশন থেকে ধর্মতলা চাকরিপ্রার্থীদের ধর্ণামঞ্চ অভিমুখে বামফ্রন্টের ডাকে মিছিল হয়।

Advertisements

সম্প্রতি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি৷ তাঁরই এক ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বস্তা বস্তা টাকা। মন্ত্রীর বাড়ি থেকে মিলেছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক নথি৷ উদ্ধার হয়েছে শিক্ষা দফতরের খামে মোড়া টাকাও। কোথা থেকে এল এত টাকা? পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি, সম্পর্ক নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে প্রতি ঘন্টায়।

যারা উপেক্ষিত, যারা বঞ্চিত, যারা প্রতিনিয়ত নিজেদের অধিকারের দাবি করছে, তাঁদেরকে নিয়ে শব্দ খরচের অবকাশ সত্যিই কম। অথচ তিন দফায় ৫০০ দিন ধরে আন্দোলন করে চলেছেন তাঁরা৷ মহামারির ভয়াবহতা তাদেরকে ছুঁতে পারেনি। শহরে জ্বালাপোড়া গরমের থেকে বেশি উত্তাপ তাঁদের আন্দোলনে। বৃষ্টির জল আন্দোলন মঞ্চে ভরে গেলেও ভেসে যায়নি আন্দোলন৷