একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্র বিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Scam) অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মামলায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে গতকালই সিবিআই হাজিরার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু সিঙ্গেল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। সেই মামলা গ্রহণে রাজি হয়নি বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে বিরাট ধাক্কা খেলেন রাজ্যের মন্ত্রী।
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে মঙ্গলবার রাত ৮ টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের সদর দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি উত্তরবঙ্গে থাকায় হাজির হননি। বুধবার কলকাতা ফিরে জেরা আটকাতেই ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেন। কিন্তু আদালত মুখ ঘোরাল।
কলকাতা হাইকোর্ট আগেই বলেছে, সিবিআইয়ের আধিকারিকরা একটি তদন্তকারী দল গঠন করবে। কোথায় কোথায় দুর্নীতি হয়েছে অর্থাৎ দুর্নীতির শিকড় কতদুর অবধি গড়িয়েছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে।
একইসঙ্গে পরেশ অধিকারীকে মন্ত্রীপদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির বক্তব্য, এটা আদালতের কোনও নির্দেশ নয়। যাতে মন্ত্রিসভায় স্বচ্ছতা থাকে সেজন্য রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করছেন তিনি।
অভিযোগ, মন্ত্রীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী পেয়েছিলেন ৬১ নম্বর। মামলাকারী ববিতার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭। কিন্তু তিনি কেন চাকতী পেলেন না। সেখান থেকেই প্রশ্ন ওঠে। সেইসঙ্গে ব্বিতার পার্সোনালিটি টেস্টের নম্বর ৮ হলেও অঙ্কিতার কোনও তথ্য নেই। এখান থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।