কলকাতা: আগামী রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Exam 2025) একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। এই দিন প্রায় ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫০০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবেন। রাজ্য জুড়ে মোট ৪৭৮টি কেন্দ্র এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীদের জন্য ইতিমধ্যেই বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
পরীক্ষার্থীদের জন্য কী কী আবশ্যক
পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক।
যদি অ্যাডমিট কার্ডে ছবি অস্পষ্ট হয়, তবে অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে সরকারি পরিচয়পত্র (ভোটার কার্ড/আধার/পাসপোর্ট ইত্যাদি) এবং তার ফটোকপি।
স্বচ্ছ কলম (transparent pen) এবং স্বচ্ছ বোতলে জল নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢোকা যাবে।
সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি স্বচ্ছ ফাইল বা ফোল্ডারে নিয়ে আসতে হবে।
মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর বা কোনও প্রকার মূল্যবান সামগ্রী পরীক্ষার হলে নিয়ে যাওয়া যাবে না। প্রয়োজন হলে এগুলো বাইরে রাখার জন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। পরীক্ষার্থীরা নিরাপত্তা আধিকারিকদের কাছ থেকে টোকেন নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ব্যাগ জমা রাখতে পারবেন।
প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে হলে প্রবেশের আগে দেহতল্লাশির মুখোমুখি হতে হবে। পরীক্ষা চলাকালীন কড়া নিরাপত্তা নজরদারি থাকবে। অযোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে টাঙিয়ে দেওয়া হবে যাতে কোনও অবস্থাতেই তারা পরীক্ষা না দিতে পারেন।
পরীক্ষার সময়সূচি
রিপোর্টিং টাইম: সকাল ১০টার মধ্যে কেন্দ্রে পৌঁছতে হবে।
পরীক্ষার সময়: দুপুর ১২টা থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
পরীক্ষার্থীরা চাইলে OMR শিটের কার্বন কপি সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন।
গত রবিবারের পরীক্ষার তুলনায় পার্থক্য
গত সপ্তাহে যেসব পরীক্ষা হয়েছিল তার তুলনায় এবার পরীক্ষা হবে ৩৬টি বিষয় নিয়ে। যদিও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কিছুটা কম, তবে নিরাপত্তায় কোনওরকম শিথিলতা রাখতে চাইছে না কমিশন। এছাড়াও, গত রবিবারের তুলনায় এবার ভিন রাজ্যের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকবে।
এসএসসি-র তরফে জানানো হয়েছে, নিয়ম না মানলে পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরীক্ষায় অনিয়ম রুখতে এবং নকল বন্ধ করতে নজরদারি ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে অভিভাবকদেরও অনুরোধ করা হয়েছে যেন পরীক্ষার দিন অযথা ভিড় না করেন।
এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ এবং শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার আগামী ধাপ নিয়ে শীঘ্রই আরও বিস্তারিত ঘোষণা করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন।