ময়নাতদন্তে উঠে এল অজানা তথ্য, কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল সৃঞ্জয়ের? উঠছে বহু প্রশ্ন

বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের (Srinjoy Dashgupta)  অকাল মৃত্যু ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। হঠাৎ করে মৃত্যু,(Srinjoy Dashgupta)  সেই…

Preliminary Post-Mortem Findings Indicate High Blood Pressure and Pancreatic Issues in Srinjoy Dashgupta’s Death

বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের (Srinjoy Dashgupta)  অকাল মৃত্যু ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। হঠাৎ করে মৃত্যু,(Srinjoy Dashgupta)  সেই সঙ্গে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট—সব মিলিয়ে বিষয়টি হয়ে উঠেছিল অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তবে মঙ্গলবার (Srinjoy Dashgupta)  সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে এল সৃঞ্জয়ের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট, যা কিছুটা হলেও ঘটনার স্বাভাবিক ব্যাখ্যা তুলে ধরেছে।

প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, সৃঞ্জয়ের মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ অ্যাকিউট হেমোরেজিক প্যানক্রিয়াটাইটিস বা হঠাৎ অগ্ন্যাশয়ে রক্তক্ষরণ-জনিত প্রদাহ। এটি একটি মারাত্মক (Srinjoy Dashgupta)  শারীরিক অবস্থা, যেখানে অগ্ন্যাশয়ে সংক্রমণ বা প্রদাহের কারণে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হতে পারে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্রুত বিকল হতে শুরু করে। এই অবস্থাকে চিকিৎসা পরিভাষায় ‘অ্যাকিউট’ বা আকস্মিক বলা হয়ে থাকে, কারণ এটি খুব দ্রুত শরীরে প্রভাব ফেলে এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পেলে মৃত্যুও হতে পারে।(Srinjoy Dashgupta)  

   

রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সৃঞ্জয়ের হৃদ্‌যন্ত্র, (Srinjoy Dashgupta)  লিভার এবং কিডনির আকার স্বাভাবিকের তুলনায় বড় ছিল। সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ বা দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক জটিলতা থাকলে এমন পরিবর্তন শরীরে দেখা যায়। এ থেকে চিকিৎসকেরা মনে করছেন, সৃঞ্জয় আগে থেকেই একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং এই সমস্ত সমস্যা তার মৃত্যুকে তরান্বিত করতে ভূমিকা নিতে পারে।

তবে এখানেই থেমে থাকছে না সংশয়। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, শুধুমাত্র প্রাথমিক রিপোর্ট দেখে নিশ্চিতভাবে মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ করা উচিত নয়। রিপোর্টে সময় সম্পর্কে (Srinjoy Dashgupta)  যে তথ্য উঠে এসেছে, তা অনুযায়ী, সৃঞ্জয়ের মৃত্যু ময়নাতদন্তের অন্তত ৫–৬ ঘণ্টা আগেই হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তার শরীরের অভ্যন্তরীণ অবস্থা কী ছিল এবং কোনও ওষুধ, অ্যালকোহল বা বিষাক্ত পদার্থ গ্রহণ করা হয়েছিল কি না—তা জানতে পূর্ণাঙ্গ টক্সিকোলজিক্যাল রিপোর্ট ও হাইস্টোপ্যাথোলজি রিপোর্ট আসা জরুরি।

স্মরণযোগ্য, সৃঞ্জয়ের মৃতদেহ মঙ্গলবার সকালে পাওয়া যায় কলকাতার সাপুরজি (Srinjoy Dashgupta)  আবাসনে তার নিজের ঘর থেকে। পরিবারের সদস্যেরা প্রথমে বিষয়টি জানতে পারেন এবং সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পর নিয়ম অনুযায়ী দেহ (Srinjoy Dashgupta)  পাঠানো হয় আর.জি. কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য।

Advertisements

সৃঞ্জয়ের মৃত্যু ঘিরে প্রথমে কিছু রহস্য তৈরি হয়েছিল, বিশেষত যেহেতু তিনি একজন পরিচিত রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য ছিলেন। রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। তবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জানিয়ে দিল, আপাতত এতে কোনও অস্বাভাবিকতার ইঙ্গিত নেই।

তবে চিকিৎসক মহল ও প্রশাসন এই বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক। কারণ মৃত্যুর(Srinjoy Dashgupta)  চূড়ান্ত কারণ নির্ধারণে এখনো বাকি রয়েছে পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল রিপোর্ট। চিকিৎসকেরা মনে করছেন, পুরো রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ভুল হতে পারে।

সৃঞ্জয়ের আকস্মিক মৃত্যু তাঁর পরিবার ও পরিচিত মহলে শোকের ছায়া ফেলেছে। তরুণ বয়সে এমন মৃত্যু মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছে তার ঘনিষ্ঠদের। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সৃঞ্জয় দীর্ঘদিন ধরেই উচ্চ (Srinjoy Dashgupta)  রক্তচাপ ও মানসিক উদ্বেগজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এই শারীরিক পরিস্থিতি তার দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলেছিল।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এখন সকলের নজর থাকবে চূড়ান্ত ময়নাতদন্ত ও (Srinjoy Dashgupta)  পরীক্ষাগার রিপোর্টের দিকে, যা হয়তো এই অকাল মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা দেবে।