ভিনরাজ্যে বাঙালি হেনস্থা-ইস্যুতে ‘বিস্ফোরক’ বাংলার মহারাজ

বাঙালি শ্রমিকদের প্রতি একাধিক রাজ্যে যেভাবে অবমাননা ও হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে সম্প্রতি এক তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিশেষত, ওড়িশা, অসম, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা সহ…

Sourav Ganguly Responds to Issue of Bengali Labourers Facing Discrimination in Other States"

বাঙালি শ্রমিকদের প্রতি একাধিক রাজ্যে যেভাবে অবমাননা ও হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে সম্প্রতি এক তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিশেষত, ওড়িশা, অসম, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা সহ অন্যান্য রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ‘বাংলাদেশি’ তকমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দিল্লিতেও এই ধরনের ঘটনার তীব্রতা বেড়েছে। (Sourav Ganguly) এমনকি, কিছু ক্ষেত্রে বাঙালি শ্রমিকদের ঘরের বিদ্যুতের লাইনও কেটে দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং অগ্রহণযোগ্য একটি ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁর মতে, এই ধরনের ঘটনা শুধুমাত্র বাঙালি সংস্কৃতি এবং ভাষার উপর আক্রমণ নয়, বরং একটি বৃহত্তর সামাজিক ও জাতিগত হেনস্থাও(Sourav Ganguly) 

সম্প্রতি হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে এক চিঠি এসেছে, যা বাঙালি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর আচরণের বিষয়টি তুলে ধরেছে। এমনকি, মালদহ, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে এই ধরনের কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এটি শুধুমাত্র বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র, যেখানে সাধারণ মানুষকে অযথা সঙ্কটে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে।(Sourav Ganguly) 

   

এই সব অভিযোগের মধ্যে, (Sourav Ganguly) বাঙালি হেনস্থার বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদ আরও তীব্র হয়েছে। তিনি বিশেষ করে ভাষা আন্দোলনকে সামনে এনে এক নতুন প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। তাঁর মতে, এই ধরনের হেনস্থা শুধু বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে নয়, বরং দেশের ঐক্য, বহুত্ববাদ এবং পারস্পরিক সম্মানের মূলনীতি নষ্ট করার চেষ্টা। ২৭ জুলাই, নানুর দিবস থেকে শুরু হবে এই ভাষা আন্দোলন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার সংস্কৃতি, ভাষা ও বাঙালি শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রাম চালানো হবে(Sourav Ganguly) 

এদিকে, এই বাঙালি হেনস্থার বিষয়ে, প্রাক্তন ক্রিকেট(Sourav Ganguly) অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অবস্থানও এসেছে। তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সৌরভ বলেন, “আমি বাংলায় বড় হয়েছি, কলকাতায় বড় হয়েছি। আমার সব কিছু এখানে। আমি আমারটা বলতে পারি, কিন্তু বাইরে কোথায় কী হচ্ছে, আমার জানা নেই।” সৌরভের এই মন্তব্য, কিছুটা নিরপেক্ষ ভাবেও ধরা হয়েছে, কারণ তিনি শুধুমাত্র নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। তবে, অনেকেই মনে করছেন যে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব যদি কিছু বলতেন, তাহলে হয়তো পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট হতে পারতো।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষা আন্দোলনের ডাক এবং বাঙালি হেনস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, অনেকের কাছে রাজনৈতিক অবস্থান নেওয়ার এক উত্তম উদাহরণ। তিনি এই আন্দোলনকে শুধু একটি সাংস্কৃতিক এবং ভাষাগত প্রতিবাদ হিসেবে দেখতে চান না, বরং এটি বৃহত্তর সামাজিক সংগ্রামের অংশ হিসেবেই দেখতে চান। তাঁর মতে, যখন এক রাজ্যে একজন সাধারণ মানুষকে হেনস্থার শিকার হতে হয়, তখন তা শুধু এক ব্যক্তি বা এক জাতির সমস্যা নয়, পুরো দেশটির নৈতিকতার প্রশ্নও হয়ে দাঁড়ায়।(Sourav Ganguly) 

Advertisements

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রতিবাদে শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তাঁরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ সভা ও মিছিল আয়োজন করেছেন। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে সঞ্চালিত এই আন্দোলন শুধু বাঙালি শ্রমিকদের মর্যাদা রক্ষার প্রশ্ন নয়, বরং বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের রক্ষারও প্রশ্ন(Sourav Ganguly) 

অপরদিকে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি নিজে একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রীড়াবিদ, তিনি অনেক সময়ই রাজনৈতিক বিষয়ে মন্তব্য করতে এড়িয়ে চলেন। তবে তাঁর এই নিরপেক্ষতা, যদিও সমালোচিত হতে পারে, তবে বেশিরভাগ মানুষ তা এক ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবেই গ্রহণ করছেন।(Sourav Ganguly) 

এখন প্রশ্ন উঠছে—এই আন্দোলনের পরিণতি কী হবে? আসলেই (Sourav Ganguly) কি বাংলার শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা হবে, নাকি এই প্রতিবাদ কেবল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে একটি প্রতীকী আন্দোলন হিসেবেই সীমাবদ্ধ থাকবে? সময়ই তা বলবে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এই আন্দোলনকে যথাযথভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হন, তবে এটি হয়তো বাংলা তথা ভারতের সংস্কৃতি, ভাষা এবং জনগণের সম্মানের জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হতে পারে। তবে, এর জন্য দরকার সমাজের সকল স্তরের মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর একত্রিত হওয়ার।(Sourav Ganguly)