শুক্রবার ভোরে সোনারপুরের(Sonarpur)ত্রাস জামালকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ পৌঁছাল জামালের ‘রাজপ্রাসাদে’। কিছুদিন আগেই সালিশি সভায় এক মহিলাকে অত্যাচারের ঘটনায় খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন জামাল সর্দার। সকাল ৬টা নাগাদ জামালকে সঙ্গে নিয়েই তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় সোনারপুর থানার পুলিশ। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে গোটা বাড়ি জুড়ে চলে তল্লাশি।
পর্যটকদের জন্য সুখবর, দুর্গাপুজোর পরই খুলতে পারে হলং বনবাংলো
প্রসঙ্গত সোনারপুরের ত্রাস জামাল প্রাসাদোপম বাড়ির মালিক। তাঁর বাড়ির ভিতর এলাহি ব্যবস্থাপনা। সুইমিং পুলে চড়ে বেড়ায় পোষ্য কচ্ছপ। রয়েছে ঘোড়া। তার দেখভালের জন্য রয়েছে কর্মী। এছাড়া বাড়িতে পরিচারক-পরিচারিকারও শেষ নেই। অবশ্য জামালের আয়ের উৎস তেমন কিছু নেই। নিজের বাড়ির ভিতরে আলাদা পৃথিবী গড়ে তুলেছিলেন জামাল। অভিযোগ, সেখানে সালিশি সভা বসাতেন তিনি। সেই সালিশি সভাতেই শিকলে বেঁধে মহিলাকে নির্যাতন করেছিলেন জামাল।
সেঞ্চুরি পার টমেটো, ২০০ ছুঁইছুঁই কাঁচা লঙ্কা! সবজির দামের রেকর্ডে মধ্যবিত্তের পকেটে ছ্যাঁকা
তবে চমকপ্রদ বিষয়, যেখানে সালিশি সভা বসত, যেখানে শিকল বাঁধার হুক ছিল, সেখানেই মাটির তলায় একটি চেম্বার গোছের জায়গার সন্ধান মিলেছে। কী কারণে ওই চেম্বারটি ব্যবহৃত হত, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, জামাল দাবি করেছেন জলের ট্যাঙ্ক হিসাবেও মাটির তলার ওই চেম্বারটিকে ব্যবহার করতেন তিনি। শুক্রবার সকালে জামালের বাড়িতে পুলিশ ঢোকার পর, বাড়ির ভিতর থেকে কিছু ভাঙাভাঙির শব্দ ভেসে আসছিল। পুলিশি অভিযানের সময় সাক্ষী হিসাবে জামালের বেশ কয়েক জন প্রতিবেশীকে ডাকা হয়েছিল। তাঁরা জানিয়েছেন, জলের ট্যাঙ্কটিই ভাঙাভাঙির কাজ চলছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, জামালের বাড়িতে তল্লাশির জন্য বারুইপুর মহকুমা আদালতে আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। তার প্রেক্ষিতেই শুক্রবার সকালে সোনারপুরে জামালের বাড়িতে অভিযান চালান পুলিশকর্মীরা।