হাওড়ার বালিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে, যা পুরো এলাকা কাঁপিয়ে দিয়েছে। রাত প্রায় বারোটার দিকে, বালিঘাট রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারের ঠিক উল্টোদিকে এবং বালিখাল বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি একটি গ্যারেজে আগুন লাগে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্যারেজে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল, যার কারণে আগুন মুহূর্তেই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে।
এলাকার অনেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, প্রথমে ছোট্ট একটি শিখা দেখা গেলেও, দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এবং আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। কিছু মিনিটের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা গ্যারাজ এবং সংলগ্ন রাস্তা, এমনকি কিছু অস্থায়ী দোকানগুলোকেও গ্রাস করে ফেলে। প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, গ্যারেজের ভিতরে থাকা বিভিন্ন দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। গ্যারেজের পাশে থাকা কিছু অস্থায়ী দোকানও পুরোপুরি পুড়ে গেছে, তবে ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই বালি থানার পুলিশ এবং বালি ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা দ্রুত দমকলকে খবর দেন এবং ছ’টি দমকল ইঞ্জিন এসে প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, গ্যারেজের ভিতরে এবং আশপাশে কতটুকু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাসস্ট্যান্ডের অস্থায়ী দোকানগুলিতে কি ধরনের ক্ষতি হয়েছে, তাও এখনও নিশ্চিত নয়।
এমন ঘটনায় এলাকার মানুষ বেশ আতঙ্কিত। ইতিমধ্যেই দমকল ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন এবং কীভাবে এমন আগুন লেগেছে, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ রাতে গ্যারেজ মালিকদের এবং বাস মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, এবং তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আগুনের কারণ সঠিকভাবে জানা না গেলেও, বেশ কিছু সূত্রে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যারেজে মজুত থাকা ইলেকট্রনিক সামগ্রী বা দাহ্য পদার্থের সংস্পর্শে কোনো শর্টসার্কিট হতে পারে, যার ফলে আগুন লেগে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এই ধরনের দুর্ঘটনা এলাকা ও বাসিন্দাদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাদের দাবি, ভবিষ্যতে যাতে এমন দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। গ্যারেজে দাহ্য পদার্থ রাখার ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
এই ধরনের ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর না থাকলেও, ক্ষতির পরিমাণ কতটুকু, তা পরবর্তীতে তদন্ত শেষে প্রকাশ করা হবে। তবে, স্থানীয়রা চান দ্রুত এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, এবং তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।