বিহারের পর কি পশ্চিমবঙ্গেও হবে SIR (SIR in Bengal)? বর্তমানে তুমুল বিতর্কের মধ্যেই বিহারে চলছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)। বিহারের পর কি তাহলে বাংলা? বিহারের পর শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গেও ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। এই নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। এমন টানাপোড়েনের মাঝে রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে কী জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার?
রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার সাফ জানান যে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি বলেন, “বাংলায় SIR কবে হবে তা পরে জানানো হবে। ৩ নির্বাচন কমিশনার আলোচনা করার পর সঠিক সময়ে জানানো হবে।” অর্থাৎ, কমিশনের ফুলবেঞ্চ বা তিন নির্বাচন কমিশোনার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বাংলায় SIR নিয়ে জ্ঞানেশ কুমার সাফ জানান যে, “পশ্চিমবঙ্গেও হবে এসআইআর, কবে হবে তা আমরা আলোচনা করে জানাব।“ তিনি জানান যে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ভারতের সকল রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন হবে। (SIR in Bengal)
বিহারে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’-এর কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে যে বিহারে শেষবার SIR হয়েছিল ২০০৩ সালে এবং পশ্চিমবঙ্গে ২০০২ সালে শেষ SIR হয়। কমিশন জানিয়েছে যে এই ভোটার তালিকা সংশোধনের মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী এবং অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়াটাই লক্ষ্য। শুধুমাত্র যোগ্য নাগরিকরাই ভোটদানের অধিকার যাতে পান, তাই এই সংশোধনী বলেই দাবি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের।
#WATCH | Delhi: Chief Election Commissioner Gyanesh Kumar says, “…The three Election Commissioners will decide when the exercise of SIR will be carried out in West Bengal or other states” pic.twitter.com/9oHLuw4r5H
— ANI (@ANI) August 17, 2025
ইতিমধ্যেই নজরুল মঞ্চে নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদ মিলিয়ে শতাধিক ব্লকের বিএলও-দের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। (SIR in Bengal) পরবর্তীতে অন্য বিএলও-দেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মনে করা হচ্ছে এটাই ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর প্রাথমিক প্রস্তুতি।
এরপর থেকেই শুরু হয়েছে বাংলায় SIR-এর তরজা (SIR in Bengal)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং একাধিক নেতা এবং মন্ত্রী দাবি করেছেন যে এটি আসলে NRC, CAA-র নামান্তরমাত্র। বিরোধীদের অভিযোগ, এর মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।