বিশ্ব সঙ্গীত দিবস: “হজমেই বাঙালির যত সমস্যা”, বিতর্কে ঘি ক্যাকটাসের সিধুর

আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ আগামী ২১শে জুন বিশ্ব সঙ্গীত দিবস। আর সেই বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে কী ভাবছে বাংলার সঙ্গীত মহল তথা বাংলা ব্যান্ডের পুরধা ব্যক্তিবর্গ? ক্যাকটাস…

sidhu cactus

আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ আগামী ২১শে জুন বিশ্ব সঙ্গীত দিবস। আর সেই বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে কী ভাবছে বাংলার সঙ্গীত মহল তথা বাংলা ব্যান্ডের পুরধা ব্যক্তিবর্গ? ক্যাকটাস ব্যান্ডের সিধু কি হলুদ পাখির মোহে এখনও আচ্ছন্ন নাকি সেই সোনালি দিন ভুলে নতুন কিছু করার তাদিগে বাংলা ব্যান্ড অন্য পথে হাঁটছে? যে সময়টা বাঙালি ডুব দিয়েছিল হলুদ পাখির মোহে, যে পথ ধরে ‘বধূরে’ হেঁটে গিয়েছিল বহুদূরে। সেই পথেই তো কাশফুল নতজানু হয়েছিল, উড়ে এসেছিল ‘ভাল থেকো’-এর বার্তা। সেইসব জনপ্রিয় গান কি আজ আপ্রাসঙ্গিক? বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে কী ভাবছে ক্যাকটাসের সিধু, খোঁজ নিল কলকাতা ২৪x৭।

সিধু কলকাতা ২৪x৭কে জানালেন, ” এইবার বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে তেমন কিছু করার প্ল্যান নেই। কোনও অনুষ্ঠানও নেই। তবে ২০ শে জুন একটা সিঙ্গেলস করার ইচ্ছে আছে। সেটা গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু দিবস উপলক্ষ্য তাঁরই একটি গান রেকর্ড করব বলে ভেবেছি।” তাঁকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করা হল, ” যত দিন যাচ্ছে, তত কি বাংলা ব্যান্ডের গান অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে?” তিনি একটু থামলেন। ভেবে বললেন, ” একদমই না। এখনও ক্যাকটাসের লাইভ শো-এর প্রচুর ডিমান্ড। শুধু তাই নয় সেই সময়ে আমাদের তৈরি করা বেশ কিছু গান কিন্তু আজও আগের মতোই লোকে শোনে এবং আগামী প্রজন্মও শুনবে বলে মনে করি।”

   

ফের তাঁকে প্রশ্ন করা হল, ” নতুন বাংলা ব্যান্ড কি আসছে? নতুন বাংলা ব্যান্ডের গান এখন কোথায়?” তিনি ফের একটু ভেবে জানালেন, ” নিশ্চয় হচ্ছে। হয়ত আমরা খোজঁ রাখছি না। আর সেই সঙ্গে একটা কথা মনে রাখতে হবে যে সবকিছুর একটা টাইম ফ্রেম থাকে। আমরা যে সময় বাংলা দাপিয়ে বেড়িয়েছি সেই সময়টা আর এই সময়টা এক নয়। আর বাঙালির সব কিছু হজম হতে একটু বেশী সময় লাগে।”

বিশ্বসঙ্গীতের দিবসে আগে বাংলা ব্যান্ডের গান এবং বাংলা সিনেমার গানের কি আদেও দ্বন্দ্ব আছে? এই নিয়ে হাসতে হাসতে সিধু বললেন, ” না একদমই নেই। দুটি পথ ভিন্ন। দুটি পথের শ্রোতাও ভিন্ন। আসলে গান গানের জায়গায় আছে। কোথাও কোনও দ্বন্দ্ব নেই।” সবশেষে জিজ্ঞাসা করলাম, ” এই বিশ্ব দিবসের প্রাক্কালে হলুদ পাখি ছাড়া আর কোন গান শোনাতে চাইবেন শ্রোতাদের?” তিনি জানালেন, ” অবশ্যই বধূ রে, ভাল থেকো, সাবধানে রাস্তা পেরিও।”