‘আমার কাজের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভুল বার্তা গিয়েছে’ : শ্রেয়া পাণ্ডে

আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ মানিকতলা উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল।স্বাভাবিক ভাবেই শিলমোহর পড়েছে সুপ্তি পাণ্ডের নামের পাশে। প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডের নামে শুরু…

shreya pandey

আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ মানিকতলা উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল।স্বাভাবিক ভাবেই শিলমোহর পড়েছে সুপ্তি পাণ্ডের নামের পাশে। প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডের নামে শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখন। শুধু তাই নয় দিদিমণি নিজে মানিকতলা উপনির্বাচনের জন্য কোর কমিটি গঠন করেছেন। কিন্তু এইসব মহাযজ্ঞের মাঝে একবারও শ্রেয়া পাণ্ডের নাম শোনা গেল না। কারণ রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে মানিকতলা উপনির্বাচনে প্রার্থীর একেবারে উপরের তালিকায় শ্রেয়ার নাম জ্বল জ্বল করলেও শেষ মুহূর্তে যেন তিনি গল্প থেকেই উবে গেলেন? এটা কি ঘাসফুলের উপর মহলের বুদ্ধির সিদ্ধান্ত? কারণ শ্রেয়ার কথায়, ” আমার মা’কে টিকিট দেওয়া মানেই তো আমার পরিবারের একজনকে প্রার্থী করা। মা-এর জন্য লড়ব। এটাই আমার জন্য অনেক।”

কথাগুলো কি অনেকটা ক্ষোভ চেপে ধরে বললেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, ” প্রার্থী না হওয়ায় কি ক্ষোভ আছে ?” তিনি হাসলেন। তারপরে বললেন, ” একদম না। দলের সিদ্ধান্তই শেষ কথা। আর আমার মা প্রার্থী, এতেই আমি খুশি।” আবারও প্রশ্ন উঠতে পারে, শ্রেয়ার কি এত চেয়ে আরও বেশী প্রাপ্য ছিল? কারণ বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁর সংগঠনের দক্ষতা বাড়ছিল। মানিকতলাসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে তাঁর ‘কাজ’ কথা বলছিল বলে দাবি তৃণমূলের একাংশের। তবুও তিনি চাপা গলায় বললেন, ” আমি কাজ করে যাচ্ছি। ওটাতেই ফোকাস করছি। দল কী সিদ্ধান্ত নিল কিংবা আমাকে কেন প্রার্থী করল না সেটা নিয়ে আমি ভাবিনি।”

   

শোনা গিয়েছে মানিকতলা উপনির্বাচনে নাকি শ্রেয়া পাণ্ডেকে নির্বাচনী কাজের বাইরে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে এই ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন করায় তিনি জানালেন, ” এই নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে আমার মা প্রার্থী, নির্বাচনের কাজে আমি কী করে দূরে থাকি?” তাঁকে ফের প্রশ্ন করা হল, ” মানিকতলা উপনির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে কি দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের সঙ্গে তোমার কথা হয়েছে ?” তিনি জানালেন, ” আমার সঙ্গে কেন কথা হবে বলুন। আমার দলের একজন সাধারণ সৈনিক, দল যা নির্দেশ দেয় আমি সেটা পালন করি।” একটু থেমে তিনি নিজেই বললেন, ” আমি যতটা পারি মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি, পারলে মানিকতলায় খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। আমার মনে হয় আমার কাজের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাজে ভুল বার্তা যাচ্ছে।”

পাল্টা প্রশ্ন করা হল, ” ভুল বার্তা মানে?” তিনি একটু হাসলেন। তারপরে থেমে জানালেন, ” উনি একজন মুখ্যমন্ত্রী, ওনার পক্ষে কোথায় কী হচ্ছে সব দেখা সম্ভব নয়। আমার মা প্রার্থী হয়েছে এতেই আমি খুশি।” সত্যি কি তাই? মানিকতলা উপনির্বাচন তৃণমূলের কাছে একেবারে জেতা আসন, তবুও বারবার প্রকাশ্যে এসেছে গোষ্ঠীকোন্দল। তাই কি খোদ দিদি তাঁর সহপাঠীকে প্রার্থী করে মুশকিল আসান করতে চান? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।