ছাত্র নেতা আনিস খানের রহস্য জনক মৃত্যুর সূত্র কেন নেই, তদন্ত ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে এমনই অভিযোগে রবিবার জেলায় জেলায় বিক্ষোভ করবে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই। তারা আনিস কে নিজেদের সংগঠনের কর্মী বলে দাবি করেছে।
মৃত আনিস খান এসএফআই করতেন। পরে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) সঙ্গে ছিলেন। শুক্রবার হাওড়ার আমতায় তাঁকে কয়েকজন বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে দেয়। এদের একজন পুলিশের পোশাকে ছিল। তবে থানা থেকে পুলিশ পাঠানো অস্বীকার করা হয়েছে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আনিস খানের পরিবার খুনের অভিযোগ তুলেছে। অভিযোগ, বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস উভয়ের বিরুদ্ধে সরব থাকায় আনিসকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। একাধিক জায়গায় চলছে বিক্ষোভ। শনিবার রাতে ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে পার্ক সার্কাসে বিক্ষোভ দেখান ছাত্র ছাত্রীরা। ব্যানার হাতে, মোমবাতি জ্বালিয়ে মিছিল করেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় যাঁরা জড়িত, দ্রুত তাঁদের শনাক্ত করে শাস্তি দিক প্রশাসন। পার্ক সার্কাসে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ দেখান পড়ুয়ারা । বিক্ষোভে সামিল হন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২ টা নাগাদ আনিস খান খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, মহাকরণে যেহেতু সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী রয়েছেন, সেই কারণেই তাঁরা মহাকরণ অভিযান করতে চলেছেন।
ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানান, হাওড়ায় আনিস খান হত্যা ঘটনায় আইন আইনের পথে চলবে। করা করেছে এটা নিয়ে আইন সাজা দেবে। এর মধ্যে বাইরের কোনও মদত থাকলেও থাকতে পারে।’
সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম জানান, আনিস খান আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল। তিনি বলেছেন, গত ১৩৭ দিন ধরে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী ধর্নায় বসে রয়েছে, মিছিল করছে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবায়নের সময়ে ধর্মীয় জিগির তুলেছিলেন এখনকার তৃণমূল নেতারা। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর গত একদশক ধরে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে তিল তিল করে শেষ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। বাম আমলে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে পার্কসার্কাসে জমি দেওয়া হলেও, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সেই জমি নিয়ে নিচ্ছেন ।