অপেক্ষার অবসান! আগামী ১ জুলাই থেকেই শিয়ালদহ (Sealdah) উত্তর শাখার সমস্ত ট্রেন ১২ বগি হতে চলেছে। দ্রুত গতিতে ৯ কোচের রেকগুলিকে ১২ কোচে পরিবর্তন করার কাজ চলছে। সেই কাজ আগামী কয়েক দিনের মধ্যে (Sealdah) শেষ হবে। তারপরই সমস্ত ট্রেন ১২ বগিতে রূপান্তরিত হবে।
এদিকে শিয়ালদহ স্টেশনের ১, ২ এবং ৫ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ইতিমধ্যেই ১২ বগির ট্রেন ছাড়ছে। কয়েকদিনের মধ্যে ৩, ৪ নম্বর প্লাটফর্ম সম্পসারণের কাজ শেষ হয়ে গেলেই এই দুটি প্লাটফর্ম থেকে ১২ কোচের লোকাল ছাড়বে। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের সুবিধা হবে বলে দাবি রেলের।
শিয়ালদহের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) জানিয়েছেন, আগামী ১ জুলাই থেকে শিয়ালদহের সমস্ত প্লাটফর্ম থেকে ১২ বগির ট্রেন ছাড়বে। ইতিমধ্যেই ৩০০টি নয় কোচের রেকের মধ্যে ১০০-র বেশি রেককে ১২ কোচে উন্নীত করা হয়েছে।
রেল যাত্রীদের জন্য সুখবর! ১৮ কোটিরও বেশি মানুষ পাবেন এই বড় সুবিধা
শিয়ালদহ ডিভিশনে প্রতিদিন প্রায় ৯০০টি লোকাল ট্রেন চলাচল করে। কিন্তু ১ থেকে ৫ নম্বর প্লাটফর্মের দৈর্ঘ্য কম থাকায় সমস্ত ট্রেন ১২ বগি করা সম্ভবপর হচ্ছিল না। অবশেষে গত কয়েক মাসে একাধিকবার ব্লক নিয়ে রেল প্লাটফর্মে দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে। ফলে ১২ বগির ট্রেন চালানো এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
এদিকে ১২ বগির ট্রেন চালুর পাশাপাশি সুবিধার্থে আরও এক বড় উদ্যোগ নিতে চলেছে পূর্ব রেল। ১, ২ ও ৩ নম্বর প্লাটফর্মের সামনে একটি নতুন গেট তৈরি করা হচ্ছে। ১৩ জুন ২০২৪ রেলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ১, ২ এবং ৩ নম্বর প্লাটফর্মের সামনে একটি প্রবেশ-প্রস্থানের গেট বানানো হবে।
ঠিক কবে এটি চালু হবে তা অবশ্য জানানো হয়নি। জুলাইয়ের শুরুতে এই গেট চালু হতে পারে বলে খবর। শিয়ালদহ স্টেশনে মসৃণভাবে প্রবেশ ও প্রস্থান করার জন্য এই গেট বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে পূর্ব রেল। এই গেট চালু হলে যাত্রীদের একটা বড় অংশ উপকৃত হবেন।
অবশেষে ঘুম ভাঙল! সুপ্রিম কোর্টের ধমকের পর নিট ইস্যুতে তড়িঘড়ি কমিটি গঠন কেন্দ্রের
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে শিয়ালদহ স্টেশনের প্রফুল্ল দ্বার ( ১ নম্বর স্টেশনের পাশের গেট)। টিন দিয়ে সিল করে দেওয়া হয় ওই গেট। এর ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। বহুবার ওই গেট খুলে দেওয়ার দাবি উঠলেও তা মানা হয়নি। এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছিল।
অবশেষে সেই ক্ষোভ মিটতে চলেছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে ১, ২ ও ৩ নম্বর স্টেশনে সামনের অংশে নতুন গেট বানাতে চলেছে রেল। এর ফলে বেশ কিছু দোকান, স্টল এবং রেলের অফিস অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটির জন্য ১৫ দিন থেকে এক মাস সময় লাগতে পারে।
শনি থেকেই বৃষ্টি, বঙ্গে বর্ষা কবে? মনজুড়ানো পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের