রামনবমীতেই ভাসবে বাংলা! সব জেলায় ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা, কলকাতায় সতর্কতা

রামনবমী উপলক্ষে এবারে আবহাওয়ার (Weather Update) পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে, উত্তর-পশ্চিমে শুষ্ক গরম বাতাস এবং অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরের (Weather Update) জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস মিশে…

Sea to Rage with Strong Winds: Cyclonic Situation and Thunderstorms Expected in Bengal from Sunday

রামনবমী উপলক্ষে এবারে আবহাওয়ার (Weather Update) পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে, উত্তর-পশ্চিমে শুষ্ক গরম বাতাস এবং অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরের (Weather Update) জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস মিশে যাচ্ছে। এই দুটি বাতাসের সংমিশ্রণ থেকে সৃষ্টি হচ্ছে একটি ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা, যা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।

আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুসারে (Weather Update), আজ রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কারণ, এ সময়ে সাগরের অবস্থা খুবই খারাপ থাকবে এবং গভীর সমুদ্রে প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

   

রবিবার, ৬ এপ্রিল থেকে চারটি জেলার মধ্যে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এই জেলা গুলি হল উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদ। এখানে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে এবং প্রচণ্ড দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। বিশেষ করে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদীয়া অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি থাকতে পারে। এজন্য মৎস্যজীবীদের ওই সব এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসব এলাকার সমুদ্রসীমায় গড়ে ৩০-৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় দমকা ঝোড়া হাওয়া প্রবাহিত হতে পারে, যা শীঘ্রই বিপজ্জনক অবস্থায় পরিণত হতে পারে।

সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পাবে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎও থাকতে পারে। আবহাওয়া দপ্তর (Weather Update) জানিয়েছে, বৃষ্টি চলাকালে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। যা সাধারণ মানুষের জন্যও বিপজ্জনক হতে পারে। বিশেষ করে, খোলা মাঠ বা গাছপালা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কারণ বজ্রপাতে আহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

এবছরের আবহাওয়া (Weather Update) বিশেষত চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে, কারণ একদিকে শুষ্ক গরম বাতাস, অন্যদিকে মুমূর্ষু ঝড়বৃষ্টি দুটিই একসঙ্গে প্রভাব ফেলছে। এই পরিস্থিতিতে কেবল মৎস্যজীবীরাই নয়, সাধারণ মানুষেরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বিশেষত, যাদের বাসস্থান উপকূলবর্তী অঞ্চলে তাদের উচিত নিজেকে প্রস্তুত রাখা এবং দুর্যোগকালীন সতর্কতার প্রয়োজনীয়তা মেনে চলা।

Advertisements

তবে, এ ধরনের আবহাওয়া পরিবর্তন আবশ্যক নয় বরং একে প্রকৃতির এক অবস্থা হিসেবে দেখা যেতে পারে। এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও একটি অন্যতম কারণ হতে পারে, যা আগামী দিনে আরও অস্বাভাবিক আবহাওয়া সৃষ্টি করতে পারে। তাই, যেকোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগে প্রাথমিক সতর্কতা নেওয়া এবং প্রস্তুত থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আশা করা যাচ্ছে, এই ঝড়বৃষ্টি খুব বেশি সময় ধরে থাকবে না এবং আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি আবহাওয়া কিছুটা উন্নতি পাবে। তবে, সামগ্রিকভাবে আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া কিছুটা বিরূপ হতে পারে, তাই সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।