শিবলিঙ্গে জল ঢেলে, ধূপ দেখিয়ে, আরতি করে দিন শুরু করলেন সায়নী ঘোষ। সেই শিবলিঙ্গ যা নিয়ে এককালে তিনি বিতর্কের কেন্দ্র বিন্দুতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। সেই শিবলিঙ্গ-এর চরণতলে তাঁকে মাথা ঠেকাতে হল। এ কি ভাগ্যের পরিহাস? নাকি ভোটের শেষদিনের ভক্তি? প্রশ্ন উঠেছে হাজার, তবুও সায়নী নিরুত্তাপ। তাঁর শুধু জয়ী হওয়াটাই লক্ষ্য। ব্যস, এর বাইরে ভোটের দিন তাঁর আর কিছু ভাবনা থাকতে পারে কি ?
যাদবপুরে ভোটের দিন সকালেই তিনি পৌঁছে যান পাড়ার শিবমন্দিরে। সবুজ পাড় গেরুয়া আঁচলের সাদা শাড়িটি গায়ে জড়িয়ে শিবলিঙ্গের সামনে বসে পুজো করেন সায়নী। তার পরে একে একে পুজো করেন মন্দিরের অন্য দেব-দেবীর মূর্তিকেও। মোমবাতি এবং ধূপ দেখিয়ে আরতিও করতে দেখা যায় তাঁকে। শেষে কিছু ক্ষণ হাতজোড় করে প্রার্থনা করে মন্দির থেকে বেরিয়ে যান যাদবপুরের প্রার্থী। রওনা হন ভাঙড়ের দিকে। তবুও যেন সেই শিবলঙ্গ বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না।
একটু অতীতে ফিরে গেলে মনে পড়বে ২০১৫ সালে সায়নীর এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার) থেকে একটি ছবি শেয়ার করা হয়। ছবিটি শিবলিঙ্গের। তাতে কন্ডোম পরাচ্ছেন এক মহিলা। ছবি দেখে বোঝা যায় এড্স সচেতনতার বিজ্ঞাপন। সেই বিজ্ঞাপনের ম্যাসকট ‘বুলাদি’র ছবিও ছিল বিজ্ঞাপনটিতে। নীচে লেখা, ‘বুলাদির শিবরাত্রি’। সায়নীর অ্যাকাউন্ট থেকে করা ওই পোস্টের বিবরণে লেখা ছিল, ‘‘ভগবান এর থেকে বেশি কার্যকরী আগে কখনও হননি!’’ সেই পোস্ট ঘিরেই বিতর্ক শুরু হয়। যদিও সায়নীও দাবি ছিল তাঁর টুইট অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল। কিন্তু সেই বিতর্কে ঘি ঢেলেছিল বিজেপি। জল গড়িয়েছিল থানা অবধিও।
কিন্তু এত বছর বাদে যখন সায়নী যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়ে ভোটের দিন শুরু করার আগে শিবলিঙ্গে জল ঢাললেন, যেন মনে হল আবার বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করল। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারে ওই ‘কন্ডোম বিতর্ক’ই টেনে আনেন বিরোধীরা। তবে আপাতত সায়নীর কুছ পরোয়া নেহি। তিনি ব্যস্ত তাঁর জয়ের জন্য।