Durga Puja 2024: রাজনীতি ভুলে পুজোর ভিড় টানার লড়াইয়ে সুজিত-সজল? রাতারাতি নোটিস পুলিশের

গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা এবং জেলার বিভিন্ন পুজোর (Durga Puja 2024) উদ্যোক্তাদের নিয়ে মিটিং করেছিলেন। সেখানে পুজোর (Durga Puja 2024) থিমের ব্যাপারে আগেভাগেই পুলিশ…

গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা এবং জেলার বিভিন্ন পুজোর (Durga Puja 2024) উদ্যোক্তাদের নিয়ে মিটিং করেছিলেন। সেখানে পুজোর (Durga Puja 2024) থিমের ব্যাপারে আগেভাগেই পুলিশ প্রশাসনকে জানানোর পক্ষে জোর সওয়াল করেন তিনি। আর তারপরই শিয়ালদহ অঞ্চলের নামকরা পুজো, সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের পূজো উদ্যোক্তাদের কাছে নোটিস গেল কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে (Durga Puja 2024)।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতাজী ইন্ডোরের পুজো মিটিংয়ে ক্রাউড ম্যানেজমেন্টে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। শিয়ালদহ অঞ্চলের বিগত কয়েক বছর ধরেই ক্রাউড পুলার পুজোতে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি তারা তাদের এই বছরের পূজোর থিম নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি বিশেষ ভিডিও আপলোড করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের ‘স্ফীয়ার’ এর অনুকরণে ২০২৪-এর পুজো মন্ডপের পরিকল্পনা করেছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার।

   

গোটা মন্ডপ জুড়ে লেজার লাইট প্রোজেকশনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার থাকবে। এমনকী মন্ডপের ভিতরেও ভেগাসের এই স্ফীয়ারের মতই 11D প্রোজেকশনের ব্যবস্থা থাকবে বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। পুজো কমিটি সূত্রে আরও দাবি, কলকাতায় এই প্রযুক্তির পুজো মণ্ডপ এর আগে কখনোই হয়নি। মুখে না বললেও পুজোয় তাঁদের প্রধান প্রতিপক্ষ যে সুজিতের বোসের শ্রীভূমি, সে কথা মানেন অনেক পুজোপ্রেমীই।

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ‘মারাত্মক’ বুকে ব্যথা! রাতেই ছুটতে হল হাসপাতালে

২০২২-এ লালকেল্লায় লেজার লাইটের প্রোজেকশন দেখতে ভিড় ভেঙে পড়েছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে। সাময়িকভাবে ভিড় সামলাতে সেই প্রোজেকশন বন্ধ রাখতে হয়। ২০২৩ সালে শিয়ালদহের বুকেই অযোধ্যার আগে তৈরি হয়ে যায় রাম মন্দির। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে উদ্বোধন হওয়া রামমন্দির দেখতে রীতিমতো জনপ্লাবন বয়ে যায় শিয়ালদহ চত্বরে। আর এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাস উঠে আসতে চলেছে শিয়ালদহের বুকে।

এর আগেও সোনায় মোড়া প্রতিমা বা প্রতিমায় সোনার শাড়ি উপস্থাপন করে তাক লাগিয়েছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার। বিজেপি কাউন্সিলর তথা বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পৃষ্ঠপোষকতায় মূলত এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। গত কয়েক বছর ধরেই তৃণমূল শাসিত প্রশাসনের দেওয়া পূজোর অনুদান নিতে অস্বীকার করেছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার। এই বছরও তাঁরা তাঁদের সিদ্ধান্তে অনড়, এমনটাই জানিয়েছেন খোদ সজল ঘোষ নিজেই।

সম্প্রতি বিধানসভা উপনির্বাচনে বরাহনগর থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন সজল ঘোষ। যদিও তৃণমূলের কাছে হার মানতে হয়েছে তাঁকে। তবে পুজোর আয়োজনে অনেকেই তৃণমূল নেতা, দমকলমন্ত্রী তথা শ্রীভূমির পুজোর মূল উদ্যোক্তা সুজিত বসুকেই সজলের প্রধান প্রতিপক্ষ বলে মনে করেন। সজল ঘোষ নিজে অবশ্য এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। অতীতে ভিড়ের চাপে শ্রীভূমির পুজো বন্ধ হওয়া নিয়ে সুজিতকে আবারও সতর্ক করেছেন মমতা। আর তারপর পরপরই আরেক হেভিওয়েট পুজো, সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে গেল থিম জানানোর নোটিস।

গোটা বিষয়টাতে রাজনীতির জল্পনা থাকলেও পুলিশের বক্তব্য, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে কলকাতার পুজো মহলে গুঞ্জন, শ্রীভূমির তিরুপতির সাথে সন্তোষ মিত্রের লাস ভেগাসের এবার জোর টক্কর হবে। ভিড় টানার খেলাতে সুজিত, সজলের মধ্যে কে চ্যাম্পিয়ন হবে, সেটা তো পুজোর সময়ই জানা যাবে। আপাতত ভিড় সামলাবার খেলা ঠিকঠাক খেলতে এখন থেকেই মাঠে নেমেছে পুলিশ। কারণ মা আসছে আর যে মাত্র ৭০ দিন বাকি।