Santosh mitra square: ওপার বাংলার দুর্গাপুজোয় হামলার প্রতিবাদ এপারের ঐতিহ্যবাহী মণ্ডপে

নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: পড়শি দেশে যখন একের পর এক দূর্গা মূর্তির উপর হামলা চলছে তখন এপার বাংলায় পুজোর আনন্দে মেতেছে হিন্দু থেকে মুসলিম সমস্ত বাঙালিরা।…

Santosh mitra square: ওপার বাংলার দুর্গাপুজোয় হামলার প্রতিবাদ এপারের ঐতিহ্যবাহী মণ্ডপে

নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: পড়শি দেশে যখন একের পর এক দূর্গা মূর্তির উপর হামলা চলছে তখন এপার বাংলায় পুজোর আনন্দে মেতেছে হিন্দু থেকে মুসলিম সমস্ত বাঙালিরা। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে পালিত হচ্ছে দুর্গোৎসব। তবে ঘটনা কারও নজর এড়িয়ে যায়নি তার সাক্ষী সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পূজা প্রাঙ্গণ। মাঠের মধ্যেই জানান হল অভিনব প্রতিবাদ। সৌজন্যে ক্লাব কর্তা এবং বিজেপি নেতা সজল ঘোষ।

Sfi on bangladesh issue

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় দূর্গা মন্ডপ গুলিতে এবং মাতৃ প্রতিমার উপর যেভাবে মৌলবাদী হামলা সংঘটিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আমরা আমাদের পুজোর মাঠে সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৭.১০ পর্যন্ত মোমবাতি নিয়ে নীরব প্রতিবাদের ব্যবস্থা জানাই। আমাদের প্রতিবাদ উগ্রতার নয় প্রতিবাদ নম্রতার। আমাদের পুজো ঐতিহ্যবাহী। এক পুজোর মাধ্যমেই শহরের সমস্ত পুজোর হয়ে ই ছিল এই প্রতিবাদ। মৌলবাদীদের কাছে কঠোর বার্তা পৌঁছে দেবে আমাদের এই কার্যক্রম।”

Santosh mitra square: ওপার বাংলার দুর্গাপুজোয় হামলার প্রতিবাদ এপারের ঐতিহ্যবাহী মণ্ডপে

বাংলাদেশের নানা স্থানে দুর্গাপূজার সময় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে। পূজা মন্ডপ, প্রতিমা ভাঙ্গচুর হয়েছে। এই বর্বরোচিত আক্রমণের বিরুদ্ধে সাথে সাথে পথে নেমেছে সেখানকার বামপন্থীরাও। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সহ বাম ছাত্র সংগঠনও এই লড়াইতে সামিল। হাসিনা সরকারও গ্রেপ্তার করছে আক্রমণকারীদের।

প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজ্য এসএফআইও। এই প্রসঙ্গে এসএফআই সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “এই দাঙ্গাবাজরা হলো সেই শক্তি যারা বাংলাদেশ স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানের হয়ে ওপার বাংলার মানুষের ওপর নির্মম অত্যাচার নামিয়েছিল। এরা এখনো বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংস করতে উদ্যত। এই সময় আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে সংখ্যালঘু অধিকার খর্বকারী সব ধরনের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করতেই হবে। দরকার ঐক্যবদ্ধ লড়াই।”

Advertisements

Santosh mitra square: ওপার বাংলার দুর্গাপুজোয় হামলার প্রতিবাদ এপারের ঐতিহ্যবাহী মণ্ডপে

বাংলাদেশে একাধিক দুর্গা মন্ডপে ঢুকে তান্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। পরের পর প্যান্ডেলে চলে দুষ্কৃতী তান্ডব। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে সেদেশের হিন্দু কাউন্সিল। নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলেই।

কুমিল্লার নানুয়া দীঘিতে সবচেয়ে খারাপ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যায়। সেখানে একটি দূর্গা পুজো প্যান্ডেলে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। দেবী দুর্গার পাদদেশে পবিত্র কোরান রাখা হয়েছে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই হামলা চলে। জানা যায় প্রতিমাটি একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। কোরান রাখার খবর ছড়ায় হোয়াটসঅ্যাপ। উস্কানিমূলক মন্তব্য ও ছবি শেয়ার হতে থাকে। এরপরেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।