আরজি কর ডাক্তার খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে শিয়ালদহ আদালতে পৌঁছল সিবিআই। রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় ধৃতদের নিয়ে আদালতে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। শিয়ালদহ আদালতের বাইরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা
শিয়ালদহ আদালতের বাইরে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে দু’বার সন্দীপকে হাজির করানোর সময় আদালত চত্বরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই আগেভাগে পুলিশি বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যদিও এদিন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় জুতো দেখতে হয় ধৃত টালা থানার ওসিকে।
সূত্রের খবর এদিন অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নিতে আদালতের কাছে আবেদন করবে সিবিআই। তাহলে ধৃতদের জেরা করেই আরও তথ্য জানতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। ধৃতদের বিরুদ্ধ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার প্রমাণ লোপাটের জন্য ২৩৮, ৬১ (বি) ও আইন অমান্যের জন্য ১৯৯ ধারায় মামলা রুজু করেছে সিবিআই।গত ৯ অগস্ট খুনের ঘটনার পর প্রমান লোপাট, দ্রুত সৎকার ও অপরাধস্থল ভেঙে ফেলার অভিযোগেও মামলা রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
আরজি কর কাণ্ডের এক মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর সঞ্জয়ের পর ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে গ্রেফতার হল প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিত মণ্ডল। আর গতকাল রাতে এই ঘটনা সামনে আসতে উল্লাসে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারী জুনিয়ার ডাক্তারেরা। এদিন রবিবার স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলনে অনড় চিকিৎসকেরা। টানা ষষ্ঠ দিনে পড়ল তাঁদের আন্দোলন। তবে দাবি মেটা না পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে দাবি করা হচ্ছে। গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় রবিবার বিকেলে ফের মিছিলের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।