বহুদিন ধরেই রাজ্যজুড়ে শিক্ষক নিয়োগে (Sacked teachers) অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এসএসসি ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন একদল চাকরিহারা (Sacked teachers) শিক্ষক-শিক্ষিকা। ‘যোগ্য’ হয়েও চাকরি (Sacked teachers) না পাওয়ার ক্ষোভে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলনে ছিলেন। তবে এবার আংশিক দাবি মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়ায় আপাতত সেই অবস্থান উঠে গেল। তবে আন্দোলন থেমে যাচ্ছে না—অবস্থান এবার সরছে শহিদ মিনারে।
চাকরিপ্রার্থীদের (Sacked teachers) তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশপ্রাপ্ত, তাঁদের অনেকেই এবার গরমের ছুটির আগে স্কুলে যোগ দেবেন। কিন্তু যাঁরা ‘যোগ্য’ হয়েও এখনও তালিকার বাইরে, তাঁদের নিয়ে আন্দোলন (Sacked teachers) আরও জোরদার হবে। তাঁদের অভিযোগ, যাঁরা প্রকৃতভাবে যোগ্য, তাঁদের নাম বাদ পড়েছে। আর যাঁদের বিরুদ্ধে অনিয়ম বা অভিযোগ রয়েছে, এমন নাম চলে এসেছে সুপারিশ তালিকায়।
কীভাবে ঘটল এই পালাবদল?
গত সোমবার থেকে এসএসসি ভবনের (Sacked teachers) সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকেরা। তাঁদের মূল দাবি ছিল, ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের একটি স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশ করা হোক এবং সেই অনুযায়ী তাঁদের অবিলম্বে স্কুলে নিয়োগ দেওয়া হোক। কিন্তু প্রথম দিন কোনও সাড়া মেলেনি। পরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, তালিকা প্রকাশ করা এইভাবে সম্ভব নয়, তবে DI (জেলা পরিদর্শক)-দের অফিসে তালিকা পাঠানো হয়েছে।
এর পর থেকেই পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন ঘটে। DI অফিসে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা জানতে পারেন, তাঁরা স্কুলে যোগ দিতে পারবেন। এই আংশিক দাবি পূরণ হওয়ার ফলেই আন্দোলনকারীরা সিদ্ধান্ত নেন, আপাতত এসএসসি ভবনের সামনে থেকে অবস্থান তুলে নেওয়া হবে
চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্যে কী উঠে এল?
চাকরিপ্রার্থীদের (Sacked teachers) তরফে মেহবুব মণ্ডল জানান, “আমরা কয়েকদিন ধরেই এই অবস্থান চালাচ্ছিলাম। কিছু দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তালিকা তৈরিতে গলদ রয়েছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁর নাম এসেছে, আবার প্রকৃত যোগ্যদের নাম বাদ পড়েছে। অনেকেই স্কুল পরিবর্তন করেছেন, সেই তথ্যও তালিকায় প্রতিফলিত হয়নি।”
তাঁর মতে, এই তালিকা তৈরির দায়িত্ব মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (Sacked teachers) হলেও কাজটি করা হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে, যেখানে যথাযথ তথ্য যাচাই না করেই নাম অন্তর্ভুক্ত বা বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে অনিয়ম আরও বাড়ছে বলেই অভিযোগ।
SSC-কে দু’দিন সময়, নাহলে বিকাশ ভবন অভিযান
চাকরিপ্রার্থীরা (Sacked teachers) স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনকে সময় দেওয়া হচ্ছে মাত্র ২ দিন। এই সময়ের মধ্যে যদি যথাযথভাবে যোগ্যদের তালিকা সংশোধন করে প্রকাশ না করা হয়, তাহলে তাঁরা এবার বিকাশ ভবনের দিকে রওনা দেবেন আরও বড় আন্দোলনের জন্য।
পরবর্তী আন্দোলন শহিদ মিনারে(Sacked teachers)
বর্তমানে এসএসসি ভবনের সামনে থেকে অবস্থান উঠে গেলেও আন্দোলন শেষ হচ্ছে না। আন্দোলনের নতুন কেন্দ্র হচ্ছে শহিদ মিনার ময়দান। সেখানে বসেই তাঁরা পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, যোগ্য প্রার্থীদের প্রতি অবিচার কিছুতেই সহ্য করা হবে না, এবং প্রয়োজনে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন ছড়ানো হবে।
এসএসসি আন্দোলন (Sacked teachers) আপাতত জায়গা বদল করলেও উত্তেজনা রয়েছে পুরোমাত্রায়। নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন আগেও উঠেছে, এখনও উঠছে। আংশিক দাবি মেটার পরও এক বড় অংশ চাকরি প্রাপ্তির বাইরে রয়ে গেছেন। আন্দোলনকারীরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, দাবি পূরণ না হলে তাঁরা আরও বড় আন্দোলনের পথে হাঁটবেন। আগামী দু’দিন রাজ্য প্রশাসনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।