কলকাতা, ৮ অক্টোবর: আজ বুধবারই আগরতলার উদ্দেশে রওনা দিতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। রাজ্য রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে তৃণমূল এবার ফের ত্রিপুরার রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের বার্তা দিতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে আগরতলায় যাওরার প্রাক্কালে কলকাতা বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh) একাধিক ইস্যুতে সরব হন। তিনি জানান, সাম্প্রতিক রাজনীতির প্রতি তীব্র সমালোচনা, তেমনই ছিল বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে গণতন্ত্রের ‘বিচারহীনতা’ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ।
সায়নী ঘোষ বলেন, “খগেন মুর্মুর সঙ্গে যা হয়েছে, সেটা ঠিক হয়নি। তবে কেউ যদি শুধুমাত্র ফটোশুট করতে যান, তাহলে তাঁকে জনরোষের মুখে পড়তে হতে পারে। রাজনীতি জনতার জন্য, প্রচারের জন্য নয়।”
তাঁর এই মন্তব্য স্পষ্ট করে দেয় যে, খগেন মুর্মুর ঘটনাকে একপাক্ষিকভাবে না দেখে, তা রাজনৈতিক কৌশলের আলোকে দেখতে বলছেন তিনি। তাঁর কথায়, “জনগণের সঙ্গে সংযোগ তৈরি না করে যদি কেউ শুধুই ক্যামেরার সামনে ছবি তোলেন, তবে মানুষের প্রতিক্রিয়া থাকতেই পারে।”
সায়নী ঘোষ তাঁর বক্তব্যে বারবার জোর দিয়ে বলেন, “তৃণমূল কাউকে ভয় পায় না। আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য, আর সেই পথেই এগোচ্ছি।” আগরতলায় দলের প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্তকে তিনি গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এমন এক সময়ে, যখন দেশের একাধিক রাজ্যে বিরোধী কণ্ঠস্বর দমন করার অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে, তখন সায়নীর এই বার্তা যে রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলাই যায়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল সায়নী ঘোষের সেই মন্তব্য, যা ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, এই মন্তব্যে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গেই প্রকৃত গণতন্ত্র টিকে আছে। অন্যদিকে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, বিরোধী দলগুলির সংগঠনের অধিকার কিংবা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বিপন্ন বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
সায়নী ঘোষের বক্তব্যে স্পষ্ট — তৃণমূল কংগ্রেস শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, দেশের অন্য রাজ্যেও বিজেপির একাধিপত্যবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে প্রস্তুত।