নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই আরও ঝাঁঝালো হচ্ছে লোকসভা ভোটের প্রার্থীদের প্রচার পর্ব। এতটুকু জমি ছেড়ে দিতে রাজি নন কেউই! একে অপরের প্রতি তোপ দাগানোর খেলা চলছেই। আর এত কিছুর মাঝেই এবার এক চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করে বসলেন বামেদের যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। এই কেন্দ্রেরই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন বাম নেতা।
কী মন্তব্য করলেন সৃজন?
“রাজীব, মুকুল, সব্যসাচী, বাবুল সুপ্রিয় যাঁরা যাঁরা এক সময় বিজেপিকে ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ বলেছিলেন তাঁরা তৃণমূলকে ‘হাম-তুম’ বলেন এখন। তাঁরা দু’দিন পরে আবার বিজেপির খোপে ঢুকে যাবেন না এর কোনও গ্যারান্টি নেই। সায়নী ঘোষ-সহ তৃণমূলের যাঁরা আছেন তাঁরা যে কেউ যে কোনওদিন বিজেপিতে ঢুকে যেতে পারেন। বিজেপিতে যাঁরা আছেন তাঁরাও যে কেউ যে কোনও দিন তৃণমূলে ঢুকে যেতে পারেন।”
শনিবার সকালে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে বেরিয়ে এভাবেই তৃণমূলকে নিশানা করেন সৃজন ভট্টাচার্যর। দুই দলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘গোডাউন একটাই কিন্তু শোরুম দুটো আলাদা।’
উল্লেখ্য, এই প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সৃজন ভট্টাচার্য। এর আগে বিধানসভা নির্বাচনে সিঙ্গুর থেকে তিনি লড়লেও, জয়ী হননি। অন্যদিকে, যাদবপুরে গতবার তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। হারিয়েছিলেন বাম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে। তবে আসন্ন নির্বাচনের আগেই সরে আসেন মিমি। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। তাঁর জায়গায় তৃণমূল টিকিট দেয় টলিউডের আরেক অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে, যিনি বহুদিন ধরেই তৃণমূলের অন্যতম ভরসার পাত্রী।
তাই যাদবপুরে এই মুহূর্তে সৃজন বনাম সায়নী আবহ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশই তাই চড়ছে পারদ। এবারও কি ধরাশায়ী হবে বামেরা? নাকি বামেদের তরুণ মুখই খাতা খুলতে সাহায্য করবে আসন্ন নির্বাচনে? উত্তর পেতে আরও একটু অপেক্ষা।