বাংলা সিনেমা জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র সম্প্রতি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রুক্মিণী মৈত্রের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই তার ভক্তদের মধ্যে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়। খবর পাওয়া গেছে, তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার হাতে স্যালাইনের চ্যানেল রয়েছে, যা তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
রুক্মিণী মৈত্র, যিনি তার গুণ ও প্রতিভার মাধ্যমে বাংলার বিনোদন জগতে নিজের স্থান তৈরি করেছেন, তার অসুস্থতার খবর ভক্তদের মধ্যে তীব্র চিন্তা সৃষ্টি করেছে। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে রুক্মিণীর অভিনীত ছবি ‘বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান’। ভক্তদের প্রচুর ভালোবাসা অর্জন করেছেন অভিনেত্রী। শুধুমাত্র বাংলাতেই নয়, জাতীয় স্তরেও প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেছে এই ছবি।
তবে, সম্প্রতি রুক্মিণী মৈত্রের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবিতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে দেখা যাচ্ছে এবং তার হাতে স্যালাইনের চ্যানেল দেখা যাচ্ছে। । ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন, ‘হাল ছাড়ছি না, লড়াই চলছে’। দিন কয়েক আগেই জানা গিয়েছিল রুক্মিণী অসুস্থ। ধুম জ্বর নায়িকার। ১০২ ডিগ্রি জ্বরে ভুগছেন, সে-কথা আগেই বলেছিলেন, তবে শারীরিক পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যাওয়ায় এবার হাসাপাতালে ভর্তি হতে হল রুক্মিণীকে।
এবার রুক্মিনীর অসুস্থতা নিয়ে কাছের মানুষের বার্তা এলো। রুক্মিণীর হাসপাতালে ভর্তি থাকার ছবি শেয়ার করে “বিনোদিনী”-র পরিচালক রাম কমল মুখোপাধ্যায় তার নিজের ছবির সংলাপ ধার করে লেখেন, ‘রুক্মিণী তুমি একজন ফাইটার, আমাদের ছবির এই সংলাপটা মনে আছে তো, এই জেদটা কোনোদিন ছাড়িস নে…হরি গুরু, গুরু হরি!’
সম্প্রতি ‘খাদান’ ছবির ৫০ দিনের সাফল্য উদ্যাপনের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রুক্মিণী। সে সময়ই তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। শনিবার রাতে অভিনেত্রী সমাজমাধ্যমে তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা প্রকাশ করেন। ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়ে রুক্মিণী জানিয়েছিলেন, ‘১০২ জ্বরে আক্রান্ত গতকাল থেকে। কিন্তু আমার মনের জোর এখনও অদম্য।’ তিনি এদিন আরও লেখেন, ‘রুক্মিণীর ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু বিনোদিনীর সঙ্গে দেখা করে আসুন আপনার কাছের সিনেম হলে।’
রুক্মিণী মৈত্রের আসন্ন ছবি গুলোর মধ্যে রয়েছে “হাঁটি হাঁটি পা পা” এবং “দ্রৌপদী”, যেখানে তার অভিনয় নিয়ে অনেকেই আগ্রহী। “বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান” ছবির সাফল্য তার ক্যারিয়ারের এক নতুন দিগন্তের সূচনা হতে পারে। এটি শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, বরং একটি ঐতিহাসিক কাহিনী যা বাংলাদেশের থিয়েটারের ঐতিহ্যকে আরও শক্তিশালী করে।