হজরত মহম্মদের (Mohammad) নামে কটুক্তির জেরে রাস্তা অবরোধে জন সাধারণ তিতিবিরক্ত। টানা অবরোধে হাওড়ার ডোমজুড় থেকে কলকাতার দিকে আসা যাওয়া বন্ধ। পরিস্থিতি সামাল দিতে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, রাস্তা অবরোধ করবেন না, থানায় থানায় অভিযোগ করুন।
পয়গম্বর মহম্মদ বিতর্কে সারা দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় বইতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে নূপুর শর্মা সহ উস্কানিদাতা হিন্দুত্ববাদী ও বিজেপি নেতাদের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাস্তা আটকে যারা প্রতিবাদ করছেন, তাঁদেরকে অবরোধ তুলে নেওয়ার আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাদের মনে হচ্ছে প্রতিবাদ দরকার তারা দিল্লিতে গিয়ে অবরোধ করুন। বাংলা যেখানে শান্তির জায়গা সেখানে কেন এইরকম করবেন। আমার খারাপ লাগছে। আমি সকাল থেকে নবান্নে বসে আছি। দেখছি আমি হাজার হাজার গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমি হাতজোড় করে অনুরোধ করব সব সম্প্রদায়কে। রাস্তা অবরোধ করবেন না। যাদের মনে হবে কিছু করা উচিত, থানায় থানায় অভিযোগ করুন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু রাস্তা অবরোধ হয়েছে। মানুষের কষ্ট হচ্ছে। সকাল ১০ টা থেকে কেউ কেউ অবরোধ করে রেখেছেন। প্রতিবাদের ভাষা এমন হওয়া উচিত নয় যাতে সাধারণ মানুষের কষ্ট হয়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা খুব সেনসিটিভ ইস্যু। আমরা সবাই একসঙ্গে থাকি। বিজেপির দুজন নেতা, তাদের নাম বলতে ঘৃণা বোধ করি। দেশের মধ্য বিদ্বেষ, ঘৃণা সৃষ্টি করা অপরাধ। আমি আগেই টুইট করে বলেছি, এদের গ্রেফতার করা উচিত। সকাল থেকে হাওড়ার কিছু জায়গায় অবরোধ করে রেখেছে। আমি নিজে গ্রেফতার করার দাবি করেছি। আমি নিজে দুঃখিত। কোনও ধর্ম সম্পর্কে কারোর কোনো কটু কথা বলার সাহস নেই। সাফ বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর।
দিন কয়েক আগেই বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা টেলিভিশনে পয়গম্বরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন। নুপুর শর্মাকে ট্যুইট করে সমর্থন জানান বিজেপি নেতা নবীন জিন্দাল।
ইতিমধ্যেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে প্রতিবাদের আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে যানজট দেখা দিয়েছে জাতীয় সড়কজুড়ে দ্বিতীয় হুগলী সেতুতেও যানজট দেখা দিয়েছে। চুড়ান্ত হয়ারানির শিকার সাধারণ মানুষ।