পুলিশ কেন ‘নীরব’? আন্দোলনকারীরা বেঁধে দিলেন ডেডলাইন

মেয়েদের রাত দখলের রাতে আরজি কর মেডিকেল কলেজে বেনজির হামলা। আরজি কর(RG kar medical college) মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালানো হয়। এই হামলার ঘটনার…

মেয়েদের রাত দখলের রাতে আরজি কর মেডিকেল কলেজে বেনজির হামলা। আরজি কর(RG kar medical college) মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালানো হয়। এই হামলার ঘটনার ইতিমধ্যেই পুলিশ আততায়ীদের ছবি প্রকাশ করে সন্ধান শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় আহত হয়েছে এক পুলিশ আধিকারিক। কিন্তু আন্দোলনরত পড়ুয়াদের দাবি বুধবার রাতে পুলিশ দর্শকের ভূমিকায় ছিল। চাইলেই পুলিশ এক হামলা আটকাতে পারত কিন্তু করেনি। তাঁদের দাবি , বুধবার রাতে আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গলদ ছিল কেন? দুষ্কৃতীদের দেখে কেন পুলিশকে পালিয়ে যেতে হল? জানতে চান আন্দোলনকারী চিকিৎসক এবং চিকিৎসক পড়ুয়ারা। জবাবদিহি চেয়ে তাঁরা অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে ঘেরাও করেন।

‘রাত দখল’ অভিযানে যেতে পারছেন না? প্রতিবাদের বিকল্প উপায় জানালেন স্বস্তিকা

বৃহস্পতিবার দুপুরে আরজি করে গিয়েছিলেন অধ্যক্ষ। তাঁকে তাঁর দফতরে প্রবেশের আগেই আটকে দেওয়া হয়। অধ্যক্ষকে ঘিরে ধরেন আন্দোলনকারীরা। তাঁর কাছে নিরাপত্তায় গলদের কারণ জানতে চাওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে সেই কারণ জানানোর জন্য এক ঘণ্টা সময় দেওয়া হয় অধ্যক্ষকে। আপাতত অ্যাকাডেমি ভবনের দরজার সামনেই তাঁরা অবস্থানে বসেছেন।

‘রাত-দখলের’ স্বাধীনতার রাতে আর জি করে অবাধ ‘গুন্ডামি’র তাণ্ডব!

Advertisements

আন্দোলনকারীরা জানান, অধ্যক্ষের কাছ থেকে তাঁরা শুনেছেন, পুলিশ কমিশনার হাসপাতালে যাবেন। তখন তাঁর সঙ্গেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক চেয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সিপির কাছ থেকেই কৈফিয়ত চান তাঁরা। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, পুলিশ ব্যর্থ হলে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার দাবিও জানাবেন তাঁরা।

এক আন্দোলনকারী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, পুলিশকে আমরা নীরব দর্শকের ভূমিকায় দেখেছি। শুধু তাই নয়, হামলাকারী তাঁদের দরজার এসে লাথি মেরেছে এমনও অভিযোগ করেছে পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁদের আরও অভিযোগ, পুলিশ সেই সময়ে বারথুমে লুকিয়ে ছিল।