আর জি কর মামলায় আদালতে দুই সাক্ষীর জবানবন্দি

RG Kar Rape-Murder Case: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কর্তব্যরত এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) শিশিয়ালদহ আদালতে আরও…

bomb scared at rg kar protest at the hospital location bomb squared

RG Kar Rape-Murder Case: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কর্তব্যরত এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) শিশিয়ালদহ আদালতে আরও দুই সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। ৯ আগস্ট ঘটে যাওয়া এই বর্বর ঘটনার তদন্তের প্রেক্ষিতে বিচার প্রক্রিয়া চলছে ইন-ক্যামেরা এবং প্রতিদিনের ভিত্তিতে।

বিচার প্রক্রিয়া শুরু ১২ নভেম্বর
গত ১২ নভেম্বর থেকে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মঙ্গলবার আরও দুই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ১৪ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নথিভুক্ত হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসকসহ নয়জন সাক্ষীর জবানবন্দি আদালতে পেশ করা হয়েছিল।

মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় আদালতে হাজির
মঙ্গলবার প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে শিয়ালদহ অতিরিক্ত জেলা ও সেশনস বিচারক অনির্বাণ দাসের আদালতে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে হাজির করা হয়। ৩১ বছর বয়সী কর্তব্যরত নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে রায়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) এর ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

নভেম্বর ৪ তারিখে অভিযোগ গঠন
৪ নভেম্বর সিশিয়ালদহ আদালত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে। তাকে ৬৬ ধারায় (যা মৃত্যু বা স্থায়ী কোমাচ্ছন্ন অবস্থার জন্য শাস্তি নির্ধারণ করে) এবং ১০৩ ধারায় (যা খুনের শাস্তি নির্ধারণ করে) অভিযুক্ত করা হয়েছে।

সিবিআইয়ের চার্জশিট
কলকাতা পুলিশের তদন্তের পর এই মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার গ্রহণ করা সিবিআই আদালতে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে একটি চার্জশিট পেশ করে। চার্জশিটে মৌখিক ও প্রামাণ্য সাক্ষ্যপ্রমাণ, ফরেনসিক রিপোর্ট এবং বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের উপর নির্ভর করে প্রমাণ করা হয়েছে যে, রায়ই একমাত্র অভিযুক্ত।

Advertisements

বর্বর ঘটনায় নিন্দার ঝড়
উল্লেখ্য, ৯ আগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার রুমে কর্তব্যরত অবস্থায় থাকা এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। এই নৃশংস ঘটনা জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি করে এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

আগামী দিনের বিচার প্রক্রিয়া
মঙ্গলবারের শুনানি শেষে বিচারক অভিযুক্তের হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়েছেন। আগামী কয়েকদিনে আরও সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালত প্রস্তুত। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত প্রমাণ উপস্থাপন ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষিত হবে।এই ঘটনার বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি তুলেছে চিকিৎসক মহলসহ সাধারণ নাগরিকরা।