সন্দীপের দেহরক্ষীর হুমকির মুখে আরজি করের অধ্যক্ষ, মুখ খুললেন কুণাল

আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পর সিবিআইয়ের আতশকাঁচের তলায় রয়েছে আরজি কর মেডিকেলের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। পুলিশের কাছ…

আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পর সিবিআইয়ের আতশকাঁচের তলায় রয়েছে আরজি কর মেডিকেলের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। পুলিশের কাছ থেকে সিবিআইয়ের কাছে এই গোটা ঘটনার তদন্তভার যাওয়ার পর থেকে প্রায় রোজই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কোন সত্য উদঘাটনের আশায় এখন সকলের নজর রয়েছে তাঁর দিকে। তবে এবার সন্দীপের দেহরক্ষীর কর্মকান্ড নিয়ে মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

এবার সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে খবরের শিরোনামে উঠে আসল তাঁরই দেহরক্ষী আফসার আলি খান। তাঁর খবরের শিরোনামে উঠে আসার পেছনে রয়েছে অন্য কারণ। সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিও পোস্ট করেছিলেন অমিত মালব্যর। সেখানে সন্দীপ ঘোষের দেহরক্ষীকে আরজি কর মেডিক্যালের বর্তমান অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুমকি দিতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বর্তমান অধ্যক্ষকে মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে হুমকি দিচ্ছেন সন্দীপ ঘোষের দেহরক্ষী আফসার আলি খান।

   

এক্স হ্যান্ডেলে সেই ভাইরাল ভিডিও পোস্ট করে অমিত মালব্য লিখেছিলেন, “এই ভিডিওয় যে ব্যক্তি আক্রমণাত্মকভাবে কথা বলছেন তিনি আফসার আলি খান। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কলঙ্কিত অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ব্যক্তিগত বাউন্সার। উনি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে নিযুক্ত বা বর্তমান অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলছেন। যিনি ক্যাম্পাসে তাঁর উপস্থিতি নিয়ে জানতে চান। অথচ উনি স্টাফও নন।

খান ভয়ঙ্করভাবে সাবধান করছেন চিকিৎসক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এটা জানিয়ে দিচ্ছেন যে, দিদি মুখ্যমন্ত্রী দিদি তাঁকে পাঠিয়েছেন। যদি তাঁর (মানস বন্দ্যোপাধ্যায়) কোনও প্রশ্ন থাকে, তাহলে তাঁর (মুখ্যমন্ত্রীর) কাছে জেনে নিক।” সেইসঙ্গে একাধিক প্রশ্ন তুলতেও দেখা গেছে অমিত মালব্যরকে। এবার মালব্যরের সেই ভিডিওই পোস্ট করে তদন্তের দাবি তুলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনিও এক্স হ্যান্ডেলে সেই ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, “এই ভিডিও ঘুরছে। এটা আসল না ফেক, দেখা হোক। যদি আসল হয়, বিপজ্জনক।

মুখ্যমন্ত্রী জানেনও না তাঁর নাম করে এই ঔদ্ধত্য, মস্তানি, অসভ্যতা করে অনেকে সরকার, দল এবং তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এটা যদি সত্যি হয়, এটাকে পুলিশ তুলুক। দেখুক সাহস পেল কোথা থেকে। ব্যবস্থা নিক। আর ভিডিও ভুয়ো হলে সেটাও জানাক।”