এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে তিলোত্তমা কাণ্ডের। সেই মর্মান্তিক (RG Kar) ঘটনার রেশ এখনও স্পষ্ট বাংলার গণচেতনায়। বিচার মেলেনি, শান্তি আসেনি, আর তাই ফের একবার পথে নামার ডাক দিলেন নির্যাতিতা ছাত্রীর মা-বাবা। তাঁদের এই প্রতিবাদী পদক্ষেপ যেন সময়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলছে— ন্যায় না পাওয়া পর্যন্ত থামবে না এই লড়াই।(RG Kar)
আগামী ৯ অগস্ট, শনিবার নবান্ন অভিযান-এর ডাক দিয়েছেন তাঁরা। উদ্দেশ্য একটাই— ন্যায়ের দাবি, আর এক বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ। (RG Kar) এ বার শুধু নিজেরাই নন, তাঁরা ডাক দিয়েছেন সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলকেও। তৃণমূল ছাড়া সব রাজনৈতিক দলকে এই আন্দোলনে পাশে থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। একেবারে সরাসরি রাজনীতির ময়দানে তাঁদের এই পা রাখা নিছক রাজনীতি নয়— এই পদক্ষেপ প্রতিটি বিচারপ্রার্থী মানুষের হয়ে একটা শক্তিশালী বার্তা বহন করছে।(RG Kar)
গত বছর আগস্ট মাসেই ঘটে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা।(RG Kar) দক্ষিণ ২৪ পরগণার এক স্কুলছাত্রী, তিলোত্তমা (নাম পরিবর্তিত), নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরিবারের দাবি ছিল, মেয়েটিকে দীর্ঘদিন ধরে যৌন হেনস্তা ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। (RG Kar) প্রথমে স্থানীয় থানা, তারপর কলকাতা পুলিশের হস্তক্ষেপে তদন্ত শুরু হয়। পরে সেই তদন্ত হস্তান্তর করা হয় সিবিআইয়ের হাতে। কিন্তু এক বছর কেটে গেলেও, এখনও পর্যন্ত নেই কোনো চূড়ান্ত বিচার। অভিযুক্তরা অনেকেই জামিনে মুক্ত। অভিযোগ উঠেছে, প্রভাবশালী মহলের চাপেই ধামাচাপা পড়েছে গোটা বিষয়টি(RG Kar)
আন্দোলনের রূপরেখা:
তিলোত্তমার মা-বাবার কথায়, “আমরা চাই শুধু ন্যায়। আমাদের (RG Kar) মেয়ের আত্মা যেন শান্তি পায়। সরকার যদি চোখ বন্ধ করে থাকে, আমরা আর বসে থাকব না।” আগামী ৯ অগস্ট তাঁরা পথে নামছেন— শান্তিপূর্ণ নবান্ন অভিযানের মাধ্যমে।
এই অভিযানে তাঁরা আহ্বান জানিয়েছেন বাম, কংগ্রেস, ISF, আপ, বিজেপিসহ তৃণমূল বাদে সব রাজনৈতিক দলকে। তাঁদের বক্তব্য, “এটা কোনও রাজনৈতিক দলের একক লড়াই নয়। এটা জনতার লড়াই, প্রতিটি মানুষের ন্যায়ের লড়াই।”
বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া:
নবান্ন অভিযানের ডাক পাওয়া মাত্রই সাড়া (RG Kar) মিলেছে একাধিক রাজনৈতিক মহল থেকে। বামফ্রন্টের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “এই রাজ্যে বিচার পাওয়া এখন দুর্লভ। তিলোত্তমার পরিবারের পাশে থাকা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।” কংগ্রেস নেতা জানান, “তৃণমূল সরকারের শাসনকালে নারী নির্যাতনের ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে, বিচার নেই। এই আন্দোলনে আমরা তাঁদের পাশে থাকব।” বিজেপি এবং অন্যান্য দলের পক্ষ থেকেও ইতিবাচক বার্তা এসেছে বলে জানা গিয়েছে।(RG Kar)
প্রশাসনের অবস্থান:
এই আন্দোলনের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো রাখার ইঙ্গিত মিলেছে সূত্র মারফত। পুলিশ বিভাগ মনে করছে, এই আন্দোলন ঘিরে ভিড় জমতে পারে শহরের গুরুত্বপূর্ণ অংশে।