আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায় সম্পর্কে উঠে এল আরও এক শিহরণ জাগানো তথ্য

আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকের গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় (RG Kar Incident) তোলপাড় বাংলা সহ ভারত। ঘটনার পরপরই অন্যতম অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে…

What Kolkata rape-murder accused Sanjay Roy told CBI during polygraph test

আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকের গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় (RG Kar Incident) তোলপাড় বাংলা সহ ভারত। ঘটনার পরপরই অন্যতম অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গতকাল অর্থাৎ রবিবার প্রেসিডেন্সি জেলে সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট নেওয়া হয়। সেখানে নিজের অপরাধের কথা অকপটে স্বীকার করে সে। তদন্তে এবারে সঞ্জয়ের প্রসঙ্গে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ইন্ডিয়া টুডে’র এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ৩১ বছরের জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার পরও নির্বিকার ছিল সে। লেশমাত্র আতঙ্ক দেখা যায়নি তার মধ্যে। বরং খুব স্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা গিয়েছিল সঞ্জয়কে।

ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ১০ অগস্ট পুলিশ গ্রেফতার করে সঞ্জয় রায়কে। জেরায় সে নিজের নিয়মিত মদ্যপানের অভ্যাসের কথা স্বীকার করে নেয়। সঞ্জয় জানায় মদ্যপান করেই ৯ তারিখ রাতে চিকিৎসকের উপর চড়াও হয়েছিল। সিসিটিভি ফুটেছে ওই রাতে কমপক্ষে ১৫ জনকে সেমিনার হলে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। যার মধ্যে একজন হল সঞ্জয়। 

   

রাজ্যের চরম গাফিলতি, আরজি কর কাণ্ডের পর মোদীকে চিঠি মমতার, জবাবে মনে করাল কেন্দ্র

আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি থাকা একজন রোগী সঞ্জয়কে চিহ্নিত করে। রোগীর পরিচয়, মৃত চিকিৎসকের এক বন্ধু সৌরভের ভাই সে। জানা গিয়েছে, এই জঘন্য অপরাধ ঘটানোর পর (RG Kar Incident) কলকাতা সশস্ত্র পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়ান ব্যারাকে গিয়েছিল সঞ্জয়। সেখানে তার থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর অনুপ দত্ত। ১০ তারিখ সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর সঞ্জয় মদ্যপান করে ফের ঘুমিয়ে পড়েছিল।

ঘুম থেকে ওঠার পর সঞ্জয়, তার সিভিক ভলেন্টিয়ার বন্ধু সৌরভের ডাকে সাড়া দিয়ে মধ্যাহ্নভোজে গিয়েছিল। এরপর দুই বন্ধু মিলে যৌনপল্লীতে যায়। সেখানে আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য পুলিশ সঞ্জয়কে খুঁজছে বলে জানায় সৌরভ। প্রত্যুত্তরে সঞ্জয় বলে “দেখে নেব”। এরপরই সেই স্থান ছেড়ে ব্যারাকে ফিরে আসে সঞ্জয়। এসে আবারও মদ্যপান করে। এর কিছুক্ষণ পর ব্যারাক থেকেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।