প্রেসিডেন্সিতে সন্দীপ, শুনেও নিরুত্তাপ সঞ্জয়…

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত রাজ্য পুলিশ একজনকেই গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম সঞ্জয় রায়। তাঁকে এবং…

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত রাজ্য পুলিশ একজনকেই গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম সঞ্জয় রায়। তাঁকে এবং সন্দীপ ঘোষকে রাখা হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলেই। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই কলেজেরই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে টানা ১৬ দিন জেরা করেছিল। তারপর ২ সেপ্টেম্বর সিবিআই-এর অপরাধ দমন শাখার হাতে গ্রেফতার হন তিনি। আপাতত তাঁরও ঠাঁই হয়েছে প্রেসিডেন্সির গরাদের পেছনে। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই রাখা হবে তাঁকে।

সূত্র মারফত জানা গেছে, প্রেসিডেন্সি জেলে সঞ্জয় রায়ের কাছে তার আইনজীবী যখন এই খবর পৌঁছে দেয়, তখন একেবারেই ভাবলেশহীন হয়ে উত্তর দেন সঞ্জয়। তিনি নাকি পাল্টা প্রশ্ন করে বসেন যে সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়েছে তো তাতে ওনার কী! আরজি কর কাণ্ডে ১০ আগস্ট গ্রেফতার করা হয়েছিল এই সিভিক পুলিশকে। ঘটনাস্থলে প্রাপ্ত হেডফোন থেকেই দু’য়ে দু’য়ে চার করে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।

   

রাজ্যজুড়ে তিলোত্তমার বিচারের জন্য যে আন্দোলন তার খোঁজ নাকি পেয়েছেন সঞ্জয়। সেই শুনে ধৃত সঞ্জয় নাকি বলেছেন, ”আসল দোষীকে খুঁজে বার করা হোক।” গত ৬ সেপ্টেম্বর সঞ্জয়কে হাজির করানো হয়েছিল শিয়ালদহ আদালতে। সশরীরে নয়, ভার্চুয়াল মাধ্যমেই উপস্থিত ছিলেন তিনি। শুনানির দিন সঞ্জয়ের মক্কেল আদালতে তাঁর জামিনের দাবি করেছিলেন। তিনি এও দাবি করেছিলেন যে তাঁর মক্কেল আদতেই নির্দোষ। তবে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেনি। এখনও পর্যন্ত খবর পাওয়া গেছে যে, সঞ্জয়কে আপাতত ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছে।