আরজি কর (RG Kar case) ধর্ষণ-খুন মামলার সাজা ঘোষণা আগামী ১৮ জানুয়ারি। চিকিৎসক তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইয়ের বিরুদ্ধে এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া এখন সম্পন্ন হয়েছে। শিয়ালদহ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ১৮ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটে নাগাদ সাজা ঘোষণা করা হবে। গত ১১ নভেম্বর এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল এবং মাত্র ৬০ দিনের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল, যা আইনজীবীদের মতে একটি দ্রুততম বিচার প্রক্রিয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
সীমান্তে সংঘাত! পেট্রাপোলে BSF-BGB’র ফ্ল্যাগ মিটিং-এ কী সিদ্ধান্ত হল?
এই মামলার মূল ঘটনা ২০২৩ সালের মে মাসে ঘটে, যখন এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার পর তার মৃতদেহটি এক নির্জন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে, শিয়ালদহের একটি আবাসিক এলাকায় তরুণীর নিখোঁজ হওয়ার খবর শোনা যায়। এরপর তার খোঁজ পেতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং ধীরে ধীরে এই খুন ও ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
এ মামলার তদন্তে সিবিআইও সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে। সিবিআই একাধিক সাক্ষী ও প্রযুক্তিগত প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তৈরি করে এবং তার সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আদালতে আবেদন করে। সিবিআই তাদের মামলার যুক্তি হিসেবে তুলে ধরে যে, সঞ্জয় রাই পরিকল্পিতভাবে এই খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছিল এবং তার এই অপরাধের জন্য তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
দুলাল খুনে অভিযুক্ত নরেন্দ্রনাথকে বরখাস্ত তৃণমূলের
এদিকে, আদালত সূত্রে জানানো হয়েছে যে, অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলির বিরুদ্ধে কোনো নির্দিষ্ট জবাব দেয়নি। তদন্তকারী সংস্থাগুলি তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। কিছুদিন আগে, সঞ্জয় রাইয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে তার পক্ষ থেকে সান্ত্বনাদায়ক আবেদন করা হলেও আদালত তা গ্রহণ করেনি।
এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় শিয়ালদহ আদালত ১৮ জানুয়ারি সাজার ঘোষণা করবে বলে জানানো হয়েছে। আদালত এ বিষয়ে আরো কিছু তথ্য পেশ করবে এবং তারপরই সাজা ঘোষণা করা হবে। শিয়ালদহ আদালতের এই দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া প্রশংসিত হয়েছে।
অনুপ্রবেশ! বিএসএফকে কাঁটাতার বসাতে বাধা বিজিবির, সংঘাত অব্যাহত
তবে, তদন্তের ব্যাপারে আরো কিছু তথ্য এখনো সামনে আসতে পারে, কারণ সিবিআই আরও কিছু সাক্ষী ও প্রমাণ সংগ্রহ করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষত, সঞ্জয় রাইয়ের সম্পর্কিত আরো কিছু বিষয়ের ওপর তদন্ত চলছে, যেগুলি এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া এবং সাজা ঘোষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
মামলার শেষ ধাপটি আসন্ন হওয়ায় শিয়ালদহ আদালত এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে অপেক্ষার অন্ত নেই। পুরো শহর এক মনোযোগী দৃষ্টি নিয়ে এই মামলার ফলাফল দেখবে, কারণ এমন একটি ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয় জনগণ এবং সমাজে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।