আরজি কর কাণ্ডে সিবিআইয়ের নজরে সুদীপ্ত, চলল জেরা-তল্লাশি

আরজি করে (RG Kar Case) আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে সে কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পরে আরজি করে চিকিৎসক খুনের ঘটনায় নজরে রয়েছে অভীক দে ও…

CBI investigation at Sudipto Roy's house

আরজি করে (RG Kar Case) আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে সে কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পরে আরজি করে চিকিৎসক খুনের ঘটনায় নজরে রয়েছে অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। এবার তাঁদের পরে সিবিআইয়ের স্ক্যানারে উঠে এল শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক ও আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১ নাগাদ সুদীপ্তের সিঁথির মোড় সংলগ্ন বিটি রোডের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআইয়ের অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকেরা। তবে এদিন বিধায়কের বাড়ির পাশাপাশি তাঁর বাড়ি লাগোয়া নার্সিংহোমেও গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের একটি দল নার্সিংহোমটিতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন। সুদীপ্ত রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল ৩ জন সিবিআই আধিকারিক।

   

বৃহস্পতিবার সিবিআই আধিকারিকেরা যখন সুদীপ্তের বাড়িতে হানা দিয়েছিল তখন তিনি তাঁর নীচের তলার অফিসঘরেই ছিলেন। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। গোটা বাড়ি ঘিরে রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। সিবিআইয়ের সূত্র মারফত জানা গেছে, শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্তের বয়ান নথিভুক্ত করা হবে।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে জানা গেছে, আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্তের ভূমিকা ঠিক কী ছিল, তা জানতেই সিবিআই সুদীপ্তের বাড়ি এবং নার্সিংহোমে এই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্তের ভূমিকা বর্তমানে তদন্তকারীদের নজরদারির মধ্যে রয়েছে। ওই দিনই আরজি কর হাসপাতালে গিয়েছিলেন সুদীপ্ত।

পরে আরজি করের ঘটনা নিয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকও করেন তিনি। তবে এদিন তাঁর বাড়িতে সিবিআইয়ের তল্লাশি প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, অনেক কষ্ট করে তিনি নিজের এই নার্সিংহোম গড়ে তুলেছেন। আর আরজি কর থেকে তিনি কোনরকম যন্ত্রপাতি নিজের নার্সিংহোমে আনেননি বলে জানিয়েছেন।

তবে এসবের পাশাপাশি ৯ আগস্টে আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ঘটনা প্রসঙ্গে অভীক ও বিরূপাক্ষকে নিয়ে বলেছেন, সেদিন অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাস স্পটে গিয়েছিল বলে তিনি শোনেননি। আর একটি ছবিতে তাঁর পিছনে তাঁদের দাঁড়ানোর যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে তাতে তিনি মনে করেন সেখানে দাঁড়ানোর সঙ্গে স্পটে যাওয়ার কোন সম্পর্ক নেই।