নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: দেশে করোনার সংক্রমণ ক্রমশই বাড়ছে। বিদেশ থেকে কেউ দেশে ফিরলেই বিমানবন্দরেই ()তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। রিপোর্ট পজিটিভ হলে করা হচ্ছে জিনোম সিকোয়েন্সিং টেস্ট। কিন্তু জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্টের জন্য বেশ কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হয়। তাই বিদেশ থেকে ফিরলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আর বাড়ি ফেরা হয় না। এবার এই সমস্যার অবসান হতে চলেছে।
কোনও ব্যক্তি ওমিক্রন (omicrin) ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত কিনা তা জানা যাবে মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই। ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে কেউ আক্রান্ত কিনা তা জানার জন্য একটি বিশেষ সনাক্তকরণ কিট তৈরি করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (icmr) ডিব্রুগড় শাখা (dibrugarh branch) এবং কলকাতার জিসিসি বায়োটেক (gcc biotek) নামে একটি সংস্থা। আইসিএমআর ও জিসিসি বায়োটেক পিপিপি মডেলে এই ওমিক্রন সনাক্তকরণ কিটটি তৈরি করেছে।
জানা গিয়েছে, কলকাতার সংস্থা জিসিসি বায়োটেক এবং আইসিএমআর-এর উত্তর পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক চিকিৎসা গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে ওমিক্রন সনাক্তকরণের এই কিটটি তৈরি করতে সফল হয়েছেন। এর ফলে বিদেশ থেকে দেশে ফেরা যাত্রীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। কারণ বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশ থেকে ফেরা কোনও যাত্রী করোনা পজিটিভ হলে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্টের জন্য তাঁকে কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হয়। এবার থেকে আর সেই অপেক্ষা করতে হবে না। বরং মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই ওই ব্যক্তি জানতে পারবেন তিনি ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত কিনা।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রায় এক হাজার কোভিড আক্রান্তের উপর এই কিটের পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষায় বিদেশ থেকে আসা ওমিক্রন আক্রান্ত একাধিক ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
আইসিএমআর-এর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ডিব্রুগড় শাখার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাঁরা তাদের আবিষ্কারের কাজ শেষ করেছেন। এবার এই টেস্ট কিট ব্যবহারের অনুমোদন পেতে তাঁরা আবেদন করেছেন। ওই আবেদন মঞ্জুর হলেই এই কিটের ব্যবহার শুরু হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহ থেকেই এই কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা শুরু করা যাবে। এই কিটটি আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতেই ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনকে চিহ্নিত করতে পারবে। ফলে রিপোর্ট হবে ১০০ শতাংশ নিখুঁত।